পনেত্রকোনার পূর্বধলায় বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। কংশ নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মাঝে পড়েছে বেড়িবাঁধ। মাছের খামার তলিয়ে যাওয়ায় মাছ বের হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তাছাড়া সবজি ফসলের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকার বাড়ী ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে গেছে। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষগুলো দুর্ভোগে পড়ছে। বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানি ব্যাপকভাবে নেমে আসায় উপজেলার সর্বত্র বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের, নলুয়া পাড়া, নাটেরকোনা, ঘুমকান্দা, গোজাখালীকান্দা, বাড়হা, মৌদাম নোয়াগাও গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। নাটেরকোনা আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এখানে বসবাসকারী ৯টি পরিবারকে উদ্ধার করে নাটোরকোনা প্রাইমারী স্কুলে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান দেয়া হয়েছে। ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের লাউয়াড়ী, দত্তকুনিয়া, পূর্ব শালথী, চোরের ভিটা গ্রাম। ঘাগড়া ইউনিয়নের কালিপুর, বাইঞ্জা, মেঘশিমুল, গিরিয়াসা গ্রামে এবং আগিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য জরুরী কন্ট্রোল রুম স্থাপন ও সকল কর্মকর্তাদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়া কিছু পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।