পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির প্রতিবাদে সচেতন অভিভাবকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থানা রোডে ওই মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়টিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, সমাজসেবকের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাসদের সভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী মানিক, উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সর্দার, প্রভাষক আবু হায়াত মোসাদ্দেক লাবুসহ একাধিক অভিভাবক।
এ সময় বক্তারা বলেন, কতিপয় দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের কারণে পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান খারাপ হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হোক। এটি না করলে মেধার বিকাশ নয়, দুর্নীতির বিকাশ ঘটবে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে।
মানববন্ধন শেষে ইউএনও’র কার্যালয়ের সামনে অধ্যাপক (অবঃ) আব্দুল হাকিম মিয়া স্মারকলিপি পাঠ করেন করেন।
এতে বলা হয়, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী (ছাত্র-ছাত্রী) ভর্তির জন্য ৭৫টি আসনের বিপরীতে ৫৭৫ জন আবেদন করে। গত ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়টির ভর্তি পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের খাতায় উত্তর লিখে ও প্রশ্নোত্তর বলে দেয়। পরীক্ষার সময় উত্তরপত্রে শিক্ষকদের দেয়া বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে ওই চিহ্নধারীদের খাতায় নম্বর বেশি করে দেওয়া যায়। এ ছাড়াও একই উত্তরপত্রে ২/৩ ধরনের হাতের লেখারও অভিযোগ করা হয়। এতে একাধিক মেধাবী শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মানসিকভাবে তারা বিপর্যস্ত হয়েছে।