পায়রা কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ১২০ মেগাওয়াট লোডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালিত ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে এখন স্বল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ
জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হবে। প্রথম দিনে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়। দ্বিতীয় ইউনিট আগামী মে মাসে চালু হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ বাংলাদেশের খবরকে গতকাল টেলিফোনে বলেন, আজকে বেশ কিছুক্ষণ কেন্দ্রে প্রথম ইউনিট চালানো হয়েছে। প্রথম দিনে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে জোগান দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো হবে। এটি ৬২০ মেগাওয়াট দাঁড়াবে।
এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশন যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। দুই বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই কেন্দ্রের ঋণ সহায়তা দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট রয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে আগামী মে মাসে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ। এর আগে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট, যা গ্যাসচালিত।
বর্তমান সরকারের টানা ১১ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। ৯৫ শতাংশ মানুষ আজ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৬টি। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৬৪ মেগাওয়াট। দেশের অফগ্রিড এলাকায় বেড়েছে সৌর বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন।