দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আবাসিক হোটেলে এক নারী (৩০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল ম্যানেজার নুর ইসলাম ও কর্মচারী মামুনুর রশিদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আলোচিত আবাসিক হোটেল ডিলাক্স সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার রাত ১১টায় ধর্ষিতা ওই নারী পার্বতীপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন, নুর ইসলাম (৩০) পাশের চিরিরবন্দর উপজেলার বিষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে ও একই এলাকার হরিহরপুর বুড়াহাট গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ (২৫)।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, ধর্ষিতা ওই নারীর বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে। ওই নারীর মা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন। হতদরিদ্র হওয়ায় তার চিকিৎসা হচ্ছিল না। পার্বতীপুরে দ্যাগলাঞ্জ গ্রামে বসবাসরত আপন ছোট ভাই খলিলুর রহমান (৩৫) মায়ের জন্য বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগরের একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে তার হেফাজতে রাখেন। ভিকটিম শনিবার সন্ধে ৬টায় সেই ঔষধ নিয়ে উলিপুর যাওয়ার উদ্দেশে চাচাতো ভাই বাহাদুরকে (৪০) নিয়ে পার্বতীপুর রেল স্টেশনে আসেন। তাদের নির্ধারিত ট্রেন (পার্বতীপুর-রমনা) রাত তিনটায় হওয়ায় এ দুই-ভাই বোন স্টেশন সংলগ্ন নতুন বাজারে শহীদ মিনার রোডে আবাসিক হোটেল ডিলাক্সে ওঠেন।
সেখানে শনিবার রাত ১১টার দিকে হোটেল ম্যানেজার নুর ইসলাম ও মামুনুর রশিদ ওই নারীকে একটি রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পার্বতীপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের সংশোধিত ৯ (৩) ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩১। এঘটনায় রবিবার রাত ১০টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফুলবাড়ী সার্কেল) রফিকুল ইসলাম পরিদর্শন করেন।