পাবনায় ৫৯৫ চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ, ৬৮ আগ্নেয়াস্ত্র জমা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

পাবনায় ৫৯৫ চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ, ৬৮ আগ্নেয়াস্ত্র জমা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৯ এপ্রিল, ২০১৯

স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থী সংগঠনের ৫৯৫ নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেন।

আজ মঙ্গলবার বিকালে পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণ করেন।

পাবনা, টাঙ্গাইল, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁয় ছড়িয়ে থাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল লাল পতাকা, জনযুদ্ধ, সর্বহারা, কাদামাটি পার্টি ও নকশালের ৬১৪ জন আঞ্চলিক নেতা ও সদস্যের আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে ৫৯৫ জন আত্মসমর্পণ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় চরমপন্থীদের স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুই হাজার চরমপন্থী সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।

যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি তারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আর আগের মতো নেই। তারা বর্তমানে জলদস্যু, বনসদ্যু, চরমপন্থী ও মাদক সন্ত্রাসীদের দমন করতে সক্ষম। যেকোনো নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে পুলিশ বাহিনী সোচ্চার।’

‘এ অনুষ্ঠানে যেসব চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী,’ যোগ করেন তিনি।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সন্ত্রাস দমনের কারণে সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো বর্তমানে কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। উগ্রপন্থী নির্মূলে বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি।

আত্মসমর্পণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাদের হাতে আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, মকবুল হোসেন, গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স, আহমেদ ফিরোজ কবির, এনামূল হক ও নাদিরা আক্তার জলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads