পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক গ্রামে মাত্র ৬ বছর বয়সী খুদে গণিতবিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগসহ যেকোনো ধরনের অঙ্ক সঠিকভাবে ক্যালকুলেটর বা খাতা-কলম ছাড়াই মুখে মুখে ফলাফল বা উত্তর বলে দিতে পারদর্শী ছোট্ট এই শিশুটি। শিশুটি কারো বয়সের সন, মাস তারিখ বলে দিলেই সে তার বয়স কত বছর, কত মাস, কত দিন মুহূর্তের মধ্যে বলে দিতে পারে। বিস্ময়কর শিশুটি গণিতের পাশাপাশি ভূগোলেও পারদর্শী। যেকোনো দেশের নাম বললে সেই দেশের রাজধানী, রাজধানীর নাম বললে দেশের নাম এবং সেই দেশের জনসংখ্যা ও আয়তন কত তা মুহূর্তের মধ্যে বলে দিচ্ছেন। বিস্ময় শিশু মো. জারিফ ইকবাল ওয়ালীদ জেলার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের মো. জাফর ইকবাল মন্টুর ছেলে। সে বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিভাবান শিশুটিকে একনজর দেখতে ও তার সঙ্গে কথা বলতে বাড়ি এবং স্কুলে শত শত মানুষ ভিড় করছে।
শিশু জারিফ ইকবাল ওয়ালীদের বাবা মো. জাফর ইকবাল মন্টু জানান, তার দুই ছেলেসন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে ওয়ালীদের মেধা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ দান। মাত্র ৬ বছরের ছেলেটির গণিতের ওপর এত দক্ষতা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি, আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এলাকার মানুষ এখন ছেলেটাকে খুদে গণিতবিদ বলে ডাকে। কেউ কেউ বিস্ময় শিশু বলে।
বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আবদুর রব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশু ওয়ালীদের গণিতে পারদর্শী আমাদের অবাক করেছে। সে এ বছরই আমাদের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। মেধাবী ছাত্র ওয়ালীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক বিষয় আমরা খোঁজখবর রাখছি।
ফরিদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল সালেক বলেন, বিষয়টি জানার পর আমার অফিসে শিশুটিকে ডেকে এনে যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ওকে এখন এলাকার সবাই খুদে গণিতবিদ বলে। ওর মেধার ধারাবাহিকতা রক্ষায় যা যা প্রয়োজন করা হবে, ওর স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। তিনি মেধাবী শিশু ছাত্র ওয়ালীদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।