রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও’র বিরুদ্ধে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কন্টাক্ট লিস্ট এবং এসএমএসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য চুরির যে অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক তদন্তে তার সত্যতা পায়নি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাঠাও’র সার্ভারে ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য বা গ্রাহকের এসএমএসের কোনো কপি কিংবা এসব তথ্য বেহাত হয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির কোনো প্রমাণ মেলেনি। নাজমুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য চুরি সংক্রান্ত ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে এবং এর অংশ হিসেবে ভিডিও প্রকাশকারী আশিক ইসতিয়াক ইমনের সঙ্গেও কথা বলেছে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ।
ইতোমধ্যে পাঠাও’র ডাটাবেজ অনুসন্ধানের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে জানিয়ে এই সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরো বলেন, ফরেনসিকের জন্য ডাটাবেজের কপি এবং মেটাডাটাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন অধিকতর তদন্ত করা হবে। তবে এ ধরনের কোনো তথ্য পেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পাঠাও’র বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
সম্প্রতি নিজেকে তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক পরিচয় দেওয়া আশিক ইসতিয়াক ইমন নামক এক তরুণ সম্প্রতি পাঠাও’র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ আনেন। এ বিষয়ে ফেসবুকে তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তখন পাঠাও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রোডাক্ট) আহমেদ ফাহাদ এসএমএস এবং কন্টাক্ট লিস্ট কপি করে নিজেদের সার্ভারে সংরক্ষণ করার বিষয়টি বাংলাদেশের খবরকে নিশ্চিত করেছিলেন। গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে কন্টাক্ট লিস্ট সংগ্রহ করা হয় এবং অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় ভেরিফিকেশনের জন্য এসএমএস সংগ্রহ করা হয় বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন তিনি।