রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অবাধে পাখি শিকার করছে এক শ্রেণির মানুষ। বিষয়টি আইনগত ঘোরতর অপরাধ হলেও তার তোয়াক্কা করছে কেউ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আজ শনিবার একজ জাগরণে নামের একটি সামাজিক সংগঠন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূল পদ্মা নদী, মরা পদ্মা নদীসহ গোয়ালন্দের ছোট-বড় অসংখ্য খাল-বিল বরাবরের মতো এবারের শীতেও অসংখ্য অতিথি পাখি ও দেশীয় প্রজাতির পাখির কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে আছে। এ সকল পাখি প্রকৃতিতে এক অনাবিল সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ এয়ারগান, গুলতি, বিষটোপ, ফাঁদসহ বিভিন্ন উপায়ে নির্বিচারে এ পাখিগুলো শিকার করে চলেছে। অতি উৎসাহি কেউ কেউ শিকার করা পাখির ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিকৃত মজা নিচ্ছে। সেখানে উঠছে সমালোচনার ঝড়।
এ অবস্থায় শনিবার গোয়ালন্দের সামাজিক সংগঠন একজ জাগরণে’র কর্মিরা পাখি শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলুর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজ জাগরণে’র আহবায়ক সুজন সরোয়ার বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা পাখি সংরক্ষণের জন্য সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এক শ্রেণির বেপরোয়া শিকারী কোন কথা শুনতে চায় না। পাখি শিকার করে বরং তারা সেই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করার মধ্য দিয়ে অন্যদেরকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, পাখি শিকার করা গুরুতর অপরাধ। বিবিধ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।