পাইকগাছায় ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

পাইকগাছায় ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ

  • আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা (খুলনা)
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ, ২০২১

পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ভালো ফলনের জন্য তরমুজ ক্ষেত নিয়মিত পরিদর্শন ও চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। এর প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তরমুজ প্রচণ্ড গরমে পানির চাহিদা পূরণ ও শরীর ঠাণ্ডা রাখে, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হূদপিণ্ড ভালো রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, তরমুজের বহু ঔষধিগুণ রয়েছে। তরমুজ মানবদেহের হূদরোগ, হাঁপানি, মস্তিকের রক্তক্ষরণ ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে। দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমায়, চামড়ার রোগপ্রতিরোধ ও মসৃন করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সুষ্ঠু রক্ত সঞ্চালন, মুখের ঘা, সর্দি, ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধ করে, কিডনি ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হাড়ের জোড়া মজবুতসহ চোখের সমস্যা দূর করে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবছর ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ হেক্টর। মোট আবাদের অর্ধেক জমিতে হাইব্রিড জাতের ড্রাগন ও অর্ধেক জমিতে সুইট ড্রাগন ও পাকিজা জাতের তরমুজের চাষ করা হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে তরমুজ চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বিক্রি করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads