পাঁচ কোটির পথে ‘তোর মনপাড়ায়’

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

পাঁচ কোটির পথে ‘তোর মনপাড়ায়’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ, ২০১৯

কিছু কিছু জনপ্রিয় গান আছে, যে গান সৃষ্টির আগে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ হয়তো ভাবতেই পারেননি যে গানটি অনেক জনপ্রিয় হবে। মাহদি সুলতানের জীবনের প্রথম গান ‘তোর মনপাড়ায়’ গানটির ক্ষেত্রেও ঠিক এমনই হয়েছে। গত বছরের ১৩ জুলাই গানটি ইউটিউবে প্রকাশের পর বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গানটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ সময়ে এসে একটি গানের ইউটিউব ভিউয়ার্সকে মূল্যায়ন করা হয়। সেই বিবেচনায় এরই মধ্যে গানটি চার কোটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভিউয়ার্স হয়েছে।

কিছুদিনের মধ্যে তা পাঁচ কোটিতে পৌঁছে যাবে। সেই হিসেবে ‘তোর মনপাড়ায়’ গানটিকে শিল্পী মাহদি সুলতান সুপার হিট গান হিসেবেই বিবেচনা করছেন। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক অয়ন চাকলাদার। তার ভাষ্যমতেও গানটি এই সময়ের একটি জনপ্রিয় গান। তিনিও ভাবতে পারেননি গানটি এতটা জনপ্রিয়তা পাবে। গানটির কথা লিখেছেন এবং সুর করেছেন জিসান খান শুভ। গানটির মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তন্বী তরুণী শাকিলা পারভীন।

শাকিলাকে এর আগে কোনো মিউজিক ভিডিওতে এতটা গ্ল্যামারাসভাবে উপস্থাপন করা হয়নি বলে এটা শাকিলারও অভিমত। সব মিলিয়েই গানটির কথা, সুর, সঙ্গীতায়োজন, শিল্পী মাহদির গায়কি এবং সর্বোপরি একটি সুন্দর গল্পের মিউজিক ভিডিও গানটিকে শ্রোতা দর্শকের কাছে দিন দিন আরো বেশি উপভোগ্য করে তুলছে।

নিজের প্রথম গানের ব্যাপক সাফল্য নিয়ে সিলেটের সন্তান মাহদি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি আমার প্রথম গান এতটা সাফল্য পাবে। ধন্যবাদ দিতে চাই গানটি প্রযোজনা করার জন্য পাবলু ভাইকে। অনেক অনেক কৃতজ্ঞ অয়ন চাকলাদার ভাইয়ার কাছে আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা ও সাহস দেওয়ার জন্য।’

অয়ন চাকলাদার বলেন, ‘আমার কেন যেন মনে হয়েছিল মাহদির গানটি শ্রোতা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে। হয়েছেও ঠিক তা-ই। গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমারও ভীষণ ভালো লাগছে। সঙ্গীতাঙ্গনের যে কারোর গানের সাফল্য আমাকে আনন্দিত করে। মাহদির জন্য শুভ কামনা রইল।’ শাকিলা পারভীন বলেন, ‘আমি গল্প অনুযায়ী নিজেকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। গানটির জন্য প্রতিনিয়তই অনেক সাড়া পাচ্ছি। একটি ভালো গানের সঙ্গে, ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে আমিও আনন্দিত। আগামীতে এমন ভালো ভালো কাজ করতে চাই।’

গানটিতে শাকিলার বিপরীতে ছিলেন রাসেল। পহেলা বৈশাখে মাহদির দ্বিতীয় গান তারই কথা ও সুরে ‘আবেগী মন’ প্রকাশ পাবে। গত বছর অয়ন চাকলাদারের গাওয়া জনপ্রিয় গান ছিল ‘পরাণের পরাণ ছিলি’। স্নেহাশীষ ঘোষের লেখা এ গানটির সুর সঙ্গীত অয়নের।

 

প্রধানমন্ত্রীকে ‘লাল জমিন’ দেখাতে চান মোমেনা

অভি মঈনুদ্দীন

মান্নান হীরা রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ ‘লাল জমিন’ প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০১১ সালের ১৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে। দীর্ঘ সাত বছরেরও অধিক সময়ে এরই মধ্যে আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় ‘লাল জমিন’র ২০০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত মোমেনা চৌধুরী। কারণ বাংলাদেশে কোনো একক অভিনীত নাটকের এবারই প্রথম ২০০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে।

‘শূণ্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লাল জমিন’। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৭৪টি শো’র মঞ্চায়নের জন্য অনুদান দিয়েছে। এই নাটক মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে মোমেনা চৌধুরী দেশের কিংবদন্তি এবং তরুণ নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক ও অভিনয় শিল্পীদের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। একই অঙ্গনের মানুষদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণাও যেন মোমেনা চৌধুরীর পথচলাকে আরো বেগবান করেছে। আজ কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টের বিএটিসি মিলনায়তনে শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের ‘লাল জমিন’ প্রদর্শন করা হবে বলে জানান মোমেনা চৌধুরী।

নিজের একক নাটকের ২০০তম মঞ্চায়ন এবং এর সাফল্য, স্বপ্ন প্রসঙ্গে মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘লাল জমিনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যে ছাড় দিয়েছে, তাতে কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। তারা ছাড় না দিলে লাল জমিনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। দেশে-বিদেশে অনেকে এরই মধ্যে লাল জমিন দেখেছেন। তবে যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ, তাই আমার স্বপ্ন আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল জমিন দেখানোর। আমার বিশ্বাস, আমার এ স্বপ্ন একদিন নিশ্চয়ই পূরণ হবে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতিমনা একজন মানুষ। আর এ নাটকটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক গল্পের নাটক, তাই এ নাটক সম্পর্কে অবগত হলে তিনিও হয়তো আগ্রহী হবেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রীকে লাল জমিন দেখানোর স্বপ্ন দেখি। আমি কৃতজ্ঞ এ নাটকের নাট্যকার মান্নান হীরার কাছে, কারণ তিনি যদি এ নাটক না লিখতেন তাহলে লাল জমিন দাঁড়াতে পারত না। ধন্যবাদ নির্দেশক সুদীপ কুমার দীপকে। অনেক কৃতজ্ঞতা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ও আমার প্রাণপ্রিয় দর্শকদের যারা বারবার লাল জমিন দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

মোমেনা জানান, এরই মধ্যে মো. সেলিম লাল জমিনের ইংরেজি অনুবাদ করা হচ্ছে যাতে অভিনয় করবেন মোমেনারই মেয়ে নভেরা রহমান, যিনি লাল জমিনে সঙ্গীত প্রয়োগ করেছেন। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ‘লাল জমিন’র ১০০তম মঞ্চায়ন হয় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads