শীত মৌসুম এলেই পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের আনাগোনা বেড়ে যায়। সপ্তাহকাল ধরে বৈরি আবহাওয়া, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি জনজীবন বিপন্ন করলেও পর্যটকদের আনন্দ থেমে নেই। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজারের ইনানীতে ভিড় করছে। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বা মানসম্মত রেস্টুরেন্ট ও হোটেল মোটেল না থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের ইনানীর মোহ কোনভাবেই ছাড়ছে না। শনিবার সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, ইনানী বীচে পর্যটক আগমনের মাত্রা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।
ঢাকা থেকে আসা ব্যাংকার রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শীত মৌসুম এলেই ছেলে মেয়েদের বায়না কক্সবাজারে যেতে হবে। তাই এবার প্রচুর কাজ থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার হয়ে ইনানী ঘুরতে এলাম।
কোথায় উঠেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইনানীতে তেমন কোনো হোটেল না থাকায় কক্সবাজার এক হোটেলে গত তিনদিন রাত যাপন করছি।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি স্কুল শিক্ষিকা সাইমা আফরিন (৩৫) এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, ইনানী বীচের প্রতি ছোট থেকে সব বয়সের সব শ্রেণী পেশার লোকজন ঘুরতে আসেন। তবে ইনানী এসে শেষ পর্যন্ত পস্তাতে হয়। কারণ এখানে গাড়ি রাখার কোনো পার্কিয়ের ব্যবস্থা নেই। মেয়েদের গোসল পরবর্তী চেঞ্জিং রুমসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা না নেই। তাই পর্যটকরা ইনানীতে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন না।
স্থানীয় পর্যটক মো. শরীফ, শামসুল আলম ও নুর মোহাম্মদসহ আরও বেশ কয়েকজন পর্যটক জানালেন, তারা রামু থেকে এসেছেন। এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগত ঘটলেও নিরাপত্তার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। এজন্য পর্যটকেরা টোকাই কর্তৃক আক্রান্ত হচ্ছে। এর দ্বারা ইনানী পর্যটনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ইনানী বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সভাপতি উপজেলর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ইনানী বীচকে দৃশ্যমান করে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সরকার মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ চলছে।