এ বছরের ১ আগস্ট চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্বার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির দল। ডলফিনটির মুখে জড়ানো ছিল জাল। পরে ময়নাতদন্ত করে জানা যায়, মুখে জাল জড়িয়ে শ্বাসনালি বন্ধ হওয়ায় এর মৃত্যু হয়েছে।
আগস্টে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মুখে জাল জড়ানো অবস্থায় আরো বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এদিকে সারা দেশে জুলাইয়ে ১০টি ও আগস্টে ১৩টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) হিসাবে, বাংলাদেশের জলসীমায় ২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৫০টির মতো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ডলফিন।
ডব্লিউসিএসর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমুদ্রে যেসব প্রাণির অকাল মৃত্যু হয়, এদের মধ্যে ডলফিনের সংখ্যা বেশি। এর মূল কারণ জেলেদের ফাঁস জাল। শুধুমাত্র এই জালেই ৬৫ শতাংশ সামুদ্রিক প্রাণির মত্যু হয়। এ ছাড়া বিহুন্দি জাল ও সমুদ্রে চলন্ত ফিশিং বোটের আঘাতও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ। অবহেলার কারণে জেলেদের মাছ ধরার যেসব জাল সাগরে ও সৈকতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়, সেগুলোতে জড়িয়ে প্রতি বছর সাগরে ও নদীতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সামুদ্রিক প্রাণী, যেমন-ডলফিন, হাঙর, সামুদ্রিক কচ্ছপ, তিমি, কাঁকড়া ও সামুদ্রিক পাখির মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন ভূতুড়ে জাল একটি বৈশ্বিক সমস্যা; তবে সমপ্রতি বঙ্গোপসাগর ও দেশের নদীগুলোতে সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে গত ২০ বছর ধরে মাছ ধরেন ছালেহ আহমদ। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে একটা পিঁপড়াও আমরা মারি না। কিন্তু অনেক সময় সমুদ্রে চলন্ত ফিশিং বোটের আঘাতে বা জেলেদের জালে পেঁচিয়ে ডলফিনের মৃত্যু হয়। ডলফিন জালে জড়িয়ে গেলে অনেক সময় জাল রক্ষা করার জন্য সেগুলোকে মেরে ফেলতে হয়, অথবা জাল কেটে দিতে হয়। পরে জাল ছাড়াতে না পেরে সাগরেই ওগুলোর মৃত্যু হয়। কুয়াকাটায় ডলফিন নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টার। তাদের প্রকল্প ইকো ফিশের প্রধান এবং ্ল