দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও ভূমিকম্পের কারণে ইতালির বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসব গ্রামে ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকে না। তাই মধ্যযুগের সমৃদ্ধ এসব অঞ্চল ভুতুড়ে গ্রামে পরিণত হয়েছে। এরই একটি হলো স্তেফানো দি সেসানিও গ্রামটি। পরিত্যক্ত এই গ্রামটিকে সংস্কার করে তৈরি করা হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
গ্রামটিকে দেখলে মনে হয় মধ্যযুগেই থমকে গেছে। নেই কোনো আধুনিক জীবনযাপনের উপকরণ। পাথরের বাড়ি, সরু পথ- সব থাকলেও অভাব শুধু মানুষের। বহু আগেই গ্রাম ছেড়ে গিয়েছে এখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু উদ্যোক্তা ড্যানিয়েল কিহলগ্রেন পড়ে থাকা এই গ্রামেই দেখেছেন পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা। গ্রামের পুরনো ভবনগুলো সংস্কার করে একটি টেকসই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঐতিহাসিক ছোট শহর বা গ্রামকে পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তরের এই ধারণা আলবার্গ দিফুইসি নামে পরিচিত।
তিনি জানান, মূলত এখানকার ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরনো ভবনগুলোর বাইরের আকারে কোনো রকম পরিবর্তন না করেই হোটেলে রূপান্তর করা হয়েছে। সংস্কার করা হলেও এখানকার নিজস্বতা বজায় রাখা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য মধ্যযুগের কুটির শিল্প, হস্ত শিল্প ও ইতালির স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে। গ্রামটিতে ২১টি হোটেল তৈরি করা হয়েছে। ফলে গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এতে তরুণ উদ্যোক্তারা গ্রামে ফিরে নানা রকম ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই যান্ত্রিক জীবনে ভিন্নতা খুঁজতে পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে এই নতুন পর্যটনকেন্দ্রে।