পরকীয়ার জেরে স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রেখা আক্তারের (২৭) বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ধানশিরা গ্রামে।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহত আব্দুল লতিফকে (৩৫) উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে। আব্দুল লতিফ ধানশিরা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায় , লতিফের সাথে পার্শ্ববর্তী মৌ গ্রামের একাধিক বিবাহিত এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে করে লতিফের দুই সন্তানের স্ত্রী রেখার সাথে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। এরই জেরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মধ্যে ঝগড়ার পর বিকালে নিজ ঘরে লতিফের চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। আশপাশের আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লতিফের চাচাতো ভাই হাদি জানান, দুপুরের একটু পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী রেখা ব্লেড দিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলতে চাইলে তার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় সে লুঙ্গি চেপে ধরে আছে। উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ হাসপাতাল নেয়া হয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেখা আক্তার জানান, মৌ গ্রামের এক নারী চিটাগং কাজ করে। তার সাথে পাঁচমাস ধরে স্বামী লতিফের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে লতিফ তাকে প্রায়শই ব্যাপক মারধর করে। চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার পরও বিভিন্ন সময়ে মারতে মারতে আধমরা বানিয়ে ফেলে। গত কয়েকদিন যাবৎ লতিফ বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করছে। আগামীকাল ওই নারীর সাথে চলে যাবার জন্য ঘরের টাকাও লুট করে নেয়। পরে এ নিয়ে ঝগড়া বাধার পর স্বামী দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে গেলে ব্লেড দিয়ে অল্প কাটতে চেষ্টাকালে উঠে পরে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রেখাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।