উপজেলার চার ইউনিয়নে পদ্মায় ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার দিঘিরপাড়, হাসাইল-বানারী, কামারখাড়া ও পাঁচগাও ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে পাদ্মায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়ারের তাণ্ডবে পদ্মার পানি বেড়ে স্রোতে পরিণত হয়ে হঠাৎ এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরে ফেলানো জিও ব্যাগগুলো ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাঁশ পুতে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। নদীর দু’পাশে ব্যাপক ভাঙনের ফলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা আলামিন বলেন, ‘আমগো জায়গা জমি সব গিল্লা খাইছে পদ্মায়। অহন আমরা নদীর পাড়ে অন্যের জায়গা ভাড়া নিয়া বসতঘর তুইলা থাকি। তাও আবার রাক্ষসী পদ্মা গিল্লা খাইতে চায়? অহন আমরা কই যামু। আমগো দেহার কেউ নাই।’ এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, ভাঙন এলাকা পরির্দশন করেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু বলেন, পদ্মায় ভাঙনের কবল থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু নদীর স্রোতে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।