যোগাযোগ

পটুয়াখলীতে ১০ দফা দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের লঞ্চ ধর্মঘট-বিপাকে যাত্রীরা

  • এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর, ২০২২

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান ধর্মঘট চলছে। এতে পটুয়াখালী নদীবন্দরসহ সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। পূর্বঘোষণা ছাড়া শনিবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করায় ঢাকা-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে ছাড়েনি লঞ্চ। আগে থেকে না জানিয়ে রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনেক যাত্রীকে লঞ্চ ঘাটে এসে ফিরে যেতে হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের লাইলি বেগম বলেন, জরুরি কাজে আজ ঢাকা যাওয়ার দরকার ছিল,পটুয়াখালী লঞ্চ ঘটে এসে জানতে পারলাম লঞ্চ বন্ধ। এখন আবার ফিরে যাইতে হবে। এতে অনেক খারাপ লাগছে ।

গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি এলাকার বাশিন্দা আবদুর রহমান মিয়া বলেন, এভাবে হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধ করাটা ঠিক হয়নি। আমরা এখন কিভাবে যাব। আগে থেকে জানালে বিকল্প পথে যাওয়ার চেস্টা করতাম লঞ্চ ঘাটে আসতাম না ।
সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের স্টাফ আমির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষকে বেতন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। আমাদের বেতন না বৃদ্ধি করা পর্যন্ত আমরা এভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখব।
প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের শ্রমিক কালাম বলেন, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আমাদের বেতন যদি না বৃদ্ধি করা হয় আমরা না খেয়ে মারা যাব। মালিকপক্ষের কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের বেতন বৃদ্ধি করা হোক।
পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়ে সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সকালে ঢাকা থেকে এমভি সুন্দরবন-১৪ এবং এমভি প্রিন্স আওলাদ যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী ঘাটে এসেছে। তবে আজ তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে না। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads