কৃষি অর্থনীতি

দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলন

ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা

  • মো. শাহাদৎ হোসেন শাহ, দিনাজপুর
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯

দিনাজপুরে ৪৮ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে এবার বাম্পার আলুর ফলন হয়েছে। জেলার চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। আলুচাষের মৌসুমের শুরু থেকে অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ, রাসায়নিক সার, বীজ ও কীটনাশক সঠিকভাবে প্রয়োগ করায় উঁচু-নিচু সব ধরনের চাষযোগ্য জমিতে আলু চাষ করেছেন চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে গেলেনা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্টারিজ, ক্যারেজ, লেডিরোসেডা, পেটনিস জাতের আলু বেশি চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের আলুর ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকদের আলুর বীজ রোপণ করতে উৎসাহ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ৪৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮ লাখ ৬০ হাজার টন। উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ টন। জেলার ১৩টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় বছরে আলুর চাহিদা প্রায় ৫ লাখ টন। অতিরিক্ত উৎপাদিত ৪ লাখ ৭৮ হাজার টন আলু জেলার বাইরে সরবরাহ করা হচ্ছে।

আলুচাষিরা জানান, জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে আলু বিক্রি করতে হয়। ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝডাঙ্গা গ্রামের আলুচাষি মাহাতাব হোসেন বলেন, হঠাৎ বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ায় তেমন লাভ হচ্ছে না। কয়েকদিন আগেও প্রতি বস্তা (৮০ কেজি) আলু প্রকারভেদে ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা বস্তা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, এবার দিনাজপুরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও শৈত্যপ্রবাহ কম হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কৃষকদের কাছে গিয়ে আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিয়েছেন। আগামীতেও আলুর বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads