ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা। আজ রোববার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে সিরাজ উদদৌলা এই জবানবন্দি দেন।
সিরাজ উদদৌলা ওরফে সিরাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আদালত চত্বরে ব্রিফিং করেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
পুলিশ সুপার ইকবাল জানান, সিরাজের সঙ্গে মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন ফেনী কারাগারে দুইবার দেখা করেন। তখন সিরাজ তাদের নির্দেশ দেন নুসরাতকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে। এ প্রস্তাবে নুসরাত রাজি না হলে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাতে বলেন। সিরাজ সবই স্বীকার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে চাননি পুলিশ সুপার ইকবাল।
এর আগে গত ২৭ মার্চ নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলায় পুলিশ সিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে ৯ এপ্রিল সিরাজকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১০ এপ্রিল তাঁকে আদালতে তুলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, সিরাজসহ ৯ জন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
