সরকার নির্বাচন বানচালের সবধরনের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যাচার নির্যাতন যতই হোক আমরা নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যাব।
আজ বুধবার বিকালে বগুড়া সদরে শহীদ দানেশ উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার একটি জুলুমবাজ সরকার। এ সরকার আপনাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে পুরে রেখে মারতে চায়। সারা দেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা তারা আওয়ামী লীগকে সরাতে চায়, পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন না হলে, গনতন্ত্র ও ইসসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ভোট গণনা শেষ করে বিজয় মিছিল করে বাড়ি ফিরতে হবে।
তিনি বলেন, আমি এখানে ভোট করতে আসেনি। আমি এসেছি আপনাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে। প্রার্থী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত হবে এদেশের মানুষ কি আবারো গোলামীতে ফিরবে কি না। এই ভোট নির্ধারণ করবে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গনতন্ত্রের মুক্তি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, ও দেশে ন্যায় বিচার এবং স্বাধীনতা ফিরে আসবে কি- না।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এই নির্বাচনী জনসভায় ঐক্যফ্রন্টের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না পুলিশকে ভালো হয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়ে বলেন, পুলিশ এখন ধরছে, ৩ দিন পর একদিনে আমারা সারা দেশে ধরবো। তারা ভয় দেখিয়েছে এক মাস আর জবাব দেওয়া হবে একদিনে।
তিনি বলেন, পুলিশ ভাল হয়ে যাচ্ছে “পুলিশ বাহিনী গতকাল আমাদের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন, এই মনে হচ্ছে পুলিশ বুঝতে পারছে আগামী ৩০ তারিখে কী হতে যাচ্ছে। এজন্য একযোগে ৩০ ডিসেম্বরে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে, লড়াই করে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিতে হবে।
বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মাখতুন আহম্মেদ খান রুবেল। জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রেজাউল করিম বাদশা, সহ-সভাপতি আলী আজগর হেনা, এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমানসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন।