নির্বাচনকালীন সরকার রুটিনওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত ‘চিকিৎসক সম্মিলন-২০১৮’-এ বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

সরকার

নির্বাচনকালীন সরকার রুটিনওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৭ অক্টোবর, ২০১৮

নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন কাজ ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আবারও ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিক করতে উদ্যোগ নেবে আওয়ামী লীগ সরকার।

আজ রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় পেশাদার সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত ‘চিকিৎসক সম্মিলন-২০১৮’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকদের এই মহাসম্মেলন উপলক্ষে বিকেলে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন সারাদেশের কয়েক হাজার চিকিৎসক। সমাজে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা চিকিৎসকদের বড় এই জমায়েতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান- নির্বাচনকালীন সরকারে থেকে রাষ্ট্রীয় বড় সিদ্ধান্ত দেয়ার বিধান নেই, তাই আবারো নির্বাচিত হলে পূরণ করবেন চিকিৎসকদের সব দাবি-দাওয়া।

তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ৩ মাস আগে থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া মানে তখন যে সরকার হবে, সেই সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নিয়মিত কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করবে না। এটাই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ের দায়িত্ব। কাজেই আমাদের হাতে এখন এই ১৬ দফা দাবি- এটার বিবেচনার কিন্তু সময় নাই। যদি বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দেয়, যদি জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়ে আবার সরকার গঠন করতে পারি, তখন হয়তো এই দাবিগুলো বিবেচনার সুযোগ পাব।’   

বিগত সরকারগুলো স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই কাজ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, ‘যারা বিত্তশালী, সম্পদশালী- তারা তো একটা হাঁচি-কাশি হলেও বিদেশে চলে যেতে পারে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো আর সেই সুযোগ পায় না। যাদের সঙ্গতি নাই, তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাটা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর জন্র আমরা যেমন ইন্সটিটিউশনগুলোও করে দিয়েছি। তেমনিভাবে চিকিৎসার সুযোগটাও আমরা ব্যাপকভাবে সৃষ্টি করতে চাই। বাংলাদেশের জনগণের সেবা দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। ক্ষমতাকে আমরা নিয়েছি হাতে এই চিন্তা থেকে যে জনগণের সেবা করা আমাদের কর্তব্য।’

দেশের মানুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে চান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবা করাটা কিন্তু সর্বপ্রথম কর্তব্য। আর এখন আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট হয়েছে। আমরা সারাদেশে ইন্টারনেট চালু করে দিয়েছি। এরই মধ্যে প্রায় ৯৯ ভাগ জেলায় ব্রডব্যান্ড চালু হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দিয়েছি। সব পথেরই কিন্তু উন্নয়ন করে দিচ্ছি।

সে কারণে চিকিৎসকদের সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমাদের আর কেবল রাজধানীতে থাকতে হবে, তা না। সারাদেশেই আমাদের চিকিৎসা সেবাটা নিশ্চিত করতে হবে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন বলে আমি আশা করি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads