নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার নুর মাওলা বাদশা(১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নিখোঁজের ১৬ ঘন্টাপর হাতপা বাধাঁ অচেতন অবস্থায় খাল পাড়ে উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ফলে চলমান এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি তার।
রবিবার দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন একটি খাল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বাদশা ওই এলাকার সামছু ড্রাইভারের বাড়ীর রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও কেরামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে আসে নূর মাওলা বাদশা। সন্ধ্যায় জনতা বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয় সে। পরে রাতে আর বাড়ীতে ফিরেনি বাদশা। আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত সম্ভাব্য স্থানে খুঁজে তার কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন চর জব্বার থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে দুপুরে জনতা বাজার সংলগ্ন একটি খালে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় বাদশাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় অবগত করে।
বাদশার বরাত দিয়ে তার চাচা নূর নবী বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর বাদশার জ্ঞান ফিরেছে। বাদশা তাদের জানিয়েছে, সন্ধ্যায় বাজার থেকে সে বাড়ীতে যাচ্ছিল। এসময় বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছলে শক্ত কিছু দিয়ে প্রথমে মাথার পিছনে আঘাত ও পরে নেশাদ্রব্য তার মুখে লাগিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে আর কিছু বলতে পারছেনা।
বাদশার অভিযোগ, অনেক আগ থেকে সহপাঠি শহিদ ও একই এলাকার আমিনুল হক আফসারের সাথে বিরোধ ছিল তার। ওই দু’জন তাকে পরীক্ষা দিতে দিবেনা বলে হুমকি দিয়েছিল। তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে সে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অভিযোগে আধা ঘন্টার মধ্যে নূর মাওলা বাদশাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।