সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগত জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনে নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা। শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার দিন মা দূর্গার অপর নামে কুমারীর নামকরণ করা হয় অপরাজীতা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হয় ওই কুমারী পূজা। এবার কুমারীর আসনে বসেছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কিন্ডার কেয়ার স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী প্রিয়ন্তী চক্রবর্তী। তার বয়স ৭ বছর ১১ মাস। বাবা স্বপন চক্রবর্তী ও মা শঙ্কুরী চক্রবর্তী।
তাকে আসনে বসিয়ে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। পূজা শেষে পূজার্থী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ১৬ টি উপকরণ দিয়ে পূজার কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণ দেয়া হয় কুমারী মায়ের পূজায়। এগুলো দেয়ার পর দেবীর গলায় পুষ্পমাল্য পরানো হয়। পূজার শেষে প্রধান পূজারী দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করেন।
পূজা শেষে প্রিয়ন্তী চক্রবর্তী চক্রবর্তী বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে আমি মানবের কল্যাণের জন্য দেবীরুপে বসেছি। আমি সকলের আশীর্বাদ কামনা করছি।
কুমারী পুজা সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ বলেন, ‘নারী মানে মায়ের প্রতীক। তাই দেবীকে জাগ্রতৃক ভাবে পূজা করতে এ কুমারী পূজার আয়োজন। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপের মায়ের আসনে পূজা করা।’