নারায়ণগঞ্জে চার লাশ, ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের মানচিত্র

ছবি: গুগল ম্যাপ

অপরাধ

নারায়ণগঞ্জে চার লাশ, ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর, ২০১৮

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা চার লাশের পরিচয় মিলেছে। স্বজনেরা এসে লাশ সনাক্ত করেন। নিহতদের বাড়ি পাবনা জেলায়। তাদের স্বজনদের অভিযোগ, লাশ উদ্ধারের সাতদিন আগে ডিবি পরিচয়ে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিল।

সোমবার সকালে স্বজনরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে তিনজনের লাশ সনাক্ত করেন। এরা হলেন- পাবনা জেলার সদর আতাইকুল থানা ধর্মগ্রাম এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে জহিরুল (৩০), একই গ্রামের জামালউদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক (৩৫) ও খায়রুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার (২০)।

গতকাল রোববার ভোরে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।  ওই দিনেই গাড়ি চালকের লুৎফর রহমানের পরিচয় সনাক্ত হয়।

লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় পৃথকভাবে দুইটি মামলা হয়েছে। এসআই রফিকউদ্দৌলা বাদী হয়ে ওই দুইটি মামলা দায়ের করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, রোববার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী ফকির বাড়ি এলাকাতে দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির কারণেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে  ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ দুটি পিস্তল ও একটি সিলভার রঙয়ের নোয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাত বা সন্ত্রাসীদের কোন্দলে ওই চারজন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন।

নিহতদের মধ্যে ফারুক প্রামানিকের বাবা জামাল প্রামানিক জানান, তার ছেলে ফারুক গাউছিয়া হতে ঢাকা পর্যন্ত বাস চালাতেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও ছিল না। ভুলতার গাউছিয়া থেকে গত ১৫ অক্টোবর ফারুকসহ চারজনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর পান জামালউদ্দিন। এরপর থেকে ছেলের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। গণমাধ্যমে খবর আর ছবি দেখে হাসপাতালে এসে তিনি ছেলের সনাক্ত করেন।

সবুজ সরদারের বাবা খায়রুল সরদার জানান, সবুজ গ্রামের বাড়িতে বেকারির কারিগর হিসেবে কাজ করতো। বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে গত ১৫ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিল। এর পরদিন থেকেই সবুজের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিল না। ঢাকার একটি বেকারিতে কাজে যোগদান করবে বলে সে বাড়িতে বলে এসেছিল। তকেও ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

জহিরুলের লাশ সনাক্ত করে শ্বশুর নজরুল ইসলাম হাসপাতালে জানান, পাবনা থেকে এসে রূপগঞ্জের ভুলতায় সবুজদের সঙ্গে একই বেকারিতে কাজ নেওয়ার কথা বলেছিল জহিরুল। কীভাবে কী ঘটল তার কিছুই তারা বুঝতে পারছেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads