নাগেশ্বরীতে ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে বন্যা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে ভাসছে নুনখাওয়া, নারায়নপুর, কেদার, বল্লভেরখাস, কচাকাটা, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ী, বামনডাঙ্গা, রায়গঞ্জ, ভিতরবন্দ ইউনিয়ন এবং নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩, ৪ ও ৮নং ওয়ার্ড।
পানিবন্দি হয়ে কষ্টকর সময় অতিবাহিত করছেন ওই ইউনিয়নগুলোর দেড় শতাধিক গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। সময় যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে তাদের দুর্ভোগ। চারদিকে অথৈ পানি। আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা না থাকায় ঘরে চাউল ডাল থাকলেও রান্না করে খেতে পারছে না। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়া গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।
বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২০ মাধ্যমিক ও ৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙ্গছে নুনখাওয়া ব্যাপারীটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে সরেজমিনে বানভাসিদের খোজ নিতে রবিবার সকাল থেকে বন্যার্ত এলাকা ঘুরেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান। এ সময় চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান ব্যাক্তিগত তহবিল হতে লক্ষাধিক টাকা বানভাসিদের হাতে তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক লিটন চৌধুরী, এস.এম রওশন আলম, বেরুবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোত্তালেব প্রমুখ।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির খবর জানতে বন্যা আক্রান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সরকারি বরাদ্দের ৫ টন চাল, ২৫ হাজার টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার।