নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী নরওয়ে

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী নরওয়ে

ছবি : সংগৃহীত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী নরওয়ে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩ এপ্রিল, ২০১৯

বাংলাদেশে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিকাশে ‘জাহাজ নির্মাণ নীতি’ প্রণয়নে কারিগরি সহায়তা দেবে নরওয়ে। এ ছাড়া টেকসই বেসরকারি খাতের উন্নয়নে একটি ‘বেসরকারি খাত উন্নয়ন নীতি’ প্রণয়নেও দেশটি প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে আগ্রহী। এ ছাড়া দেশটি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন গতকাল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শিল্প খাতে দ্বিপক্ষীয় সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শিল্প খাতে দক্ষ জনবল তৈরি, পানিসম্পদের দক্ষ ব্যবহার, ব্যবসার সুযোগ সহজীকরণ, বিনিয়োগবান্ধব আইন ও নীতি কাঠামো প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

বৈঠকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাঠামোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এর ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে বলে তিনি জানান।

শিল্পমন্ত্রী নরওয়েকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিল্প খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সরকার একটি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। নরওয়ে এক্ষেত্রে গবেষণা, প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তা করতে পারে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নরওয়েসহ উন্নত বিশ্বে রপ্তানিযোগ্য জনবল তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়নে আগ্রহের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

হুমায়ূন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কাজ করছে। এসডিজির শিল্প সম্পর্কিত ৬, ৯ ও ১২ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আলোকে বর্তমান সরকার থ্রি-আর নীতি প্রণয়ন করছে। তিনি শিল্প খাতে দ্বিপক্ষীয় সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোর খালি জায়গায় সরকারি-সরকারি, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যবসায়ী-ব্যবসায়ী যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads