নতুন মাত্রা পাবে নেতৃত্ব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন

নতুন মাত্রা পাবে নেতৃত্ব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ ছাড়াও ডাকসু হবে ভবিষ্যৎ নেতা তৈরির সূতিকাগার। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাতে এবার ডাকসুর কর্মকাণ্ডে যোগ হবে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনার কথা বলছেন ডাকসু ও ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতারা।

’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর ভূমিকা ছিল অগ্রভাগে। তাই বলা চলে ছাত্র সংগঠন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসু নির্বাচন ভবিষ্য নেতা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ সোপানও বটে। তবে প্রশ্ন- ডাকসুর হারানো ঐতিহ্য কি ফিরে আসবে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাত ধরে?

ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান বলেন, দেশে যখন সামরিক শাসন থাকে, তার থেকে গণতন্ত্র অর্জনের জন্য ডাকসু এবং ছাত্র সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যখন দেশে সংসদ থাকে, তখন ডাকসুর ভূমিকাটা কী থাকবে তা ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। কিছু প্রেক্ষাপটও নতুন সংযোজিত হবে।

নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান না থাকার যে দাবি তুলছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো তা অযৌক্তিক বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রনেতারা। সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে জোট করে ছাত্রলীগ এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এমন পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।

২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ হতে যাওয়া এ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নিতে যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সমমনা দলগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বাম সংগঠনগুলো প্রগতিশীল ছাত্রজোট আর কোটা আন্দোলনকারীদের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেল নির্ধারণে কাজ করছে। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রদল।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সহাবস্থানের কোনো ঘাটতি নেই। যার যার সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করার জন্য অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি তো আর আরেক সংগঠন পূরণ করতে পারবে না।

নির্বাচন বানচালের জন্যই এসব কথা বলছে ষড়যন্ত্রকারীরা- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, এই ধরনের অযৌক্তিক কথাবার্তা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করবার চক্রান্ত। ডাকসু নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেই ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করতেই এসব কথা বলছে তারা, এটি খুবই দুঃখজনক।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে আছে জাসদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন। টিএসসিকেন্দ্রিক আরো কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করে প্যানেল দেবে ছাত্রলীগ। তাতে আরো যোগ দিতে পারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার আদায়ে আমরা আপসহীন লড়াই করেছি। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের ভোটে আমরা বিজয়ী হব।

বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রগতিশীল ছাত্রজোটে আছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্টের মতো সংগঠনগুলো। এ জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে সাম্রাজ্যবিরোধী ছাত্রঐক্য ও পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনগুলো। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে আলোচনায় আসা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করবে।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুরু বলেন, আমরা এককভাবে অংশগ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে চান। তবে অনেকে সরাসরি রাজনীতি পছন্দ করেন না, তাদের জন্য আমাদের প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত।

কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, জোটের বাইরে ছাত্রঐক্যের পাশাপাশি আধিবাসী ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের সবাইকে নিয়েই আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অফিসিয়ালি প্যানেল প্রকাশ করব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads