ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার। নিয়ম অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করে উন্নত নগর গড়ার নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসব প্রার্থী।
এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যান্ড শিল্পী শাফিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিডিপি) শাহীন খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রচারণায় খুব একটা দেখা যায়নি।
তবে নির্বাচনে জয়ী হলে ঢাকা উত্তর সিটিকে উন্নত নগরীতে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই তারা নেবেন বলে জানান। কেউ কেউ পরিচ্ছন্ন নগর গড়বেন। কেউ বায়ু দূষণ রোধ করবেন। আবার কেউ প্রয়াত আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নগর পিতা নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলামের প্রথম কাজ হবে কাজ বোঝা। এরপর তিনি সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, নগরীকে একটি পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে উপহার দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব। দেয়ালে কোনো ধরনের পোস্টার ফেস্টুন লাগাতে দেব না। দৃষ্টিকটু সব দেয়াল বিভিন্ন দৃশ্য এঁকে সাজিয়ে তুলব।
নগরীর বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মাদক ও খাদ্যে ভেজাল নির্মূলে জিরো টলারেন্স অবস্থানে থাকবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ। তিনি বলেন, পরিবেশের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ করা হবে। ফুটপাত যাতে পথচারীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেজন্য হকার পুনর্বাসন করে ফুটপাত দখল মুক্ত করব। সিটি করপোরেশনের সব সেবা নিশ্চিত করব। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ রক্ষার প্রতি নজর থাকবে। মাদক সেবন ও ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাস ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেছেন, আমি আনিস ভাইয়ের টেবিল ঘড়ি মার্কা নিয়েই জনতার কাছে এসেছি। তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই। নির্বাচিত হলে বস্তিবাসীর জন্য কাজ করব। স্থায়ী বহুতল ভবন নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসন করব। শিক্ষাবাণিজ্য বন্ধ করা, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, কর্মসংস্থান তৈরি করা, ন্যায্যমূল্যে খাদ্য বিতরণ প্রকল্প চালু করা এবং সবার মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকব।
মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বার হোসেন বলেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ, কিন্তু রক্ষা করা কঠিন নয়। নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়রের প্রথম কাজ হবে নাগরিকদের পাশাপাশি যারা নগর নিয়ে জানেন, বোঝেন এবং গবেষণা করেন, তাদের সঙ্গে সবে একটা ধারণা নেওয়া। এরপর সবার মতামত ও বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সমাধান করা।