কৃষি অর্থনীতি

নওগাঁয় ফসলের মাঠে কৃষকের বুক ভরা স্বপ্ন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৪ এপ্রিল, ২০২৩

এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ প্রতিনিধি:
শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চাষ করা হচ্ছে বোরো ধান। সোনালী ফসলের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা, জমিতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এই দৃশ্য দেখলে মনে হবে যেন ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁর মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতগুলো লালচে থেকে সবুজ হয়ে উঠেছে।
কৃষকের এখন ব্যস্ত সময়, কাউকে কাউকে দেখা গেছে পানি নিতে, নিড়ানিতে ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত। নওগাঁ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হলেও, ধানই এখানকার প্রধান ফসল। যুগ যুগ ধরে ধান উৎপাদন করে আসছেন এখানকার কৃষকরা। এ ফসল দিয়ে চলে তাদের সংসার। গত বছর বন্যায়। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আলু আবাদ তুলার পরে ওই জমিতে কৃষকরা রোপণ করেছেন বোরো ধান।
মান্দা এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, একদিকে ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। অপরদিকে ঘন কুয়াশা নষ্ট করেছে ধানের চারা। তবুও বন্যার ক্ষতিপূরণের আশায় ধার-দেনা করে বোরো ধানের আবাদ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার অধিক ফসল ঘরে তোলা যেতে পারে।
নিয়ামতপুর উপজেলার আরেক কৃষক সজল মিয়া বলেন, ধান ক্ষেতে দুই দফায় সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয়, তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (নওগাঁ) উপ-পরিচালক আবু কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১১ টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৮ লাখ ৯ হাজার ১০০ হেক্টর । আবাদ হয়েছে ১৯ লাখ ৯৫০ হেক্টর জমিতে।বোরে চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।তাদের ভালো ফলন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads