ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া গাজী নজরুল ইসলামের মেয়ে ও স্ত্রীকে মঙ্গলবার জেলগেট থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আগের রাতে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কয়েক নেতাসহ এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা পরিবারগুলো দাবি করেছে। হামলার সময় বৃদ্ধ মফিজুল গাজীর হাত ভেঙে যায় বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও তার মেয়ে নাসিমা আক্তারকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের গেট থেকে আটক করা হয়। কারাগারে আটক গাজী নজরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা বারটার দিকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের আটক করা হয় বলে পরিবারের দাবি। যদিও পুলিশের কোনো পক্ষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা তিনটা) সাবেক এমপির স্ত্রী ও মেয়েকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে গাজী নজরুল ইসলামকে তার শ্যামনগর সদরের বাসা থেকে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশ।এছাড়া মঙ্গলবার পুলিশ নুরনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ইউনিয়ন যুবদল সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালামসহ বিএনপির পাঁচ নেতার বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ করেছে আনোয়ার হোসেন এবং আব্দুস সালাম। তাদের দাবি সোমবার রাতে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সানাউল্লাহর নেতৃত্বে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলায় অংশ নেয়া লোকজন ওই দুই নেতার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ছাড়াও হবি মোল্যা, বনি আমিন মোল্যা এবং জহুর মোল্যা নামের আরো কয়েকজন বিএনপি কর্মীর বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো দাবি করেছে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট জানানো হলে তিনি জেলার নির্বাচনী সেল এর কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে আনোয়ার হোসেন জানান।
জানা গেছে সানাউল্লাহর নেতৃত্বে হামলাকারীদের তান্ডবে মফিজুল গাজী হাত ভেঙে যায় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীসহ তিনজন মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন।