ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার বিষয়ে জনমনে সন্দেহ ও উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী’ পদযাত্রা শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু স্বস্তির পরিবর্তে জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। একটি দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কতটুকু অনাস্থা থাকলে মানুষ অপরাধীদের ধরা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারে। কারণ আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, যাকে ধরা হয়েছে সে আসল ধর্ষক কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের সন্দেহ আরেকটি জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছে। যদিও আমরা জানি না সে কী, তবে আমরা ধরেই নিচ্ছি যে, সে আসল ধর্ষক। ভিপি নুর আরো বলেন, এটা কিন্তু দেশের জন্য খুবই একটি অ্যালার্মিং ব্যাপার, যে একটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দিন দিন মানুষের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও ধিক্কার জানাই। কারণ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তনুর হত্যাকারী ও ধর্ষককে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ছাত্রলীগের সমালোচনা করে ভিপি বলেন, যেদিন ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ছাত্রলীগের নেত্রীরা একজন শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করেন। তাকে মারধর করেন। সে ঘটনাটি নিয়ে কিন্তু প্রতিবাদ হয়নি। সুতরাং শুধু একটি ঘটনা নিয়ে সরব হলে প্রতিবাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ হয়ে হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে আবার টিএসসিতে এসে পদযাত্রাটি শেষ করেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, মশিউর রহমান প্রমুখ।