ধর্মপাশায় আনন্দ স্কুলের সাত শিক্ষককে বহিস্কার

মানচিত্রে সিলেট

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

ধর্মপাশায় আনন্দ স্কুলের সাত শিক্ষককে বহিস্কার

  • ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগে আনন্দ স্কুলের সাত শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রস্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ওই শিক্ষকদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।

জানা যায়,গত ১৯ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প ফেইজ-২ এর অধীনে ফাতেমা নগর আনন্দ স্কুল, মাটিকাটা আনন্দ স্কুল, ধর্মপাশা উত্তরপাড়া আনন্দ স্কুল, আতকাপাড়া আনন্দ স্কুল ও কাবিল খাঁ নোয়াগাঁও আনন্দ স্কুলের ২০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গত ২০ নভেম্বর ফাতেমানগর আনন্দ স্কুলের শিক্ষক খাদিজা আক্তার, মাটিকাটা আনন্দ স্কুলের শিক্ষক হিরামনি, ধর্মপাশা উত্তরপাড়া আনন্দ স্কুলের শিক্ষক রিক্তামনি,আতকাপাড়া আনন্দ স্কুলের শিক্ষক পপি আক্তার, কাবিল খাঁ নোয়াগাঁও আনন্দ স্কুলের শিক্ষক সালমা আক্তার এবং ওইসব স্কুলের দায়িত্বে থাকা পুল শিক্ষক আব্দুর রহমান ও আব্দুল মান্নানকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

আতকাপাড়া আনন্দ স্কুলের শিক্ষক পপি আক্তার বলেন, রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর সোহেলী আক্তারের নির্দেশেই ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়েছিল।

উপজেলা রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর সোহেলী আক্তার বলেন, `আনন্দ স্কুলের সকল শিক্ষকেরা মিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন'। পুল শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, `এ কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কী না তা তদন্ত ছাড়াই আমাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগে ওইসব শিক্ষকদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads