বুড়িগঙ্গার দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল বুধবার সকালে কামরাঙ্গীরচরের মুন্সিহাটি এলাকায় দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হয়। বিকাল চারটা পর্যন্ত চলা ওই অভিযানে দুটি বহুতল ভবনসহ চারটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে অভিযানের প্রথম দিন মঙ্গলবার ১৬টি পাকা ভবনসহ ১৬৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবারের অভিযানে নদী দখলের অভিযোগে একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত করতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। এজন্যই আমাদের এ অভিযান। এটা অব্যাহত থাকবে। কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হবে না।
সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন, সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত নদীর দুই তীরে ৬০৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবই ভাঙা হবে। তিনি বলেন, এসব স্থাপনার মধ্যে ৫৬টি বহুতল ভবন। এগুলো আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এর মধ্যে ১৬টি ভেঙে ফেলেছি।
নদীর জমি উদ্ধারের পর এবার স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে জানান আরিফ উদ্দিন। আমরা সীমানা চিহ্নিত করে নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেব। ভেতরে গাছ লাগিয়ে দেব, যেন কেউ পুনরায় দখল করতে না পারে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে শুরু হয়ে সোয়ারীঘাট ও কামরাঙ্গীরচরের নবাবচর পর্যন্ত অভিযান চলবে। এখানেও ভাঙা পড়বে অনেক পাকা-আধাপাকা স্থাপনা।
এরপর কিছু দিন বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের মুখে। কামরাঙ্গীরচরের ঠোঁটা নামে পরিচিত এই এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযানটি চলবে লোহারপুল পর্যন্ত। এতে রিকশাভ্যানের গ্যারেজসহ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ থানা এলাকার বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরে। কাটাসুর হাউজিং এলাকা থেকে শ্রীখণ্ড পর্যন্ত এ অভিযানে ভাঙা পড়বে কয়েকটি বহুতল ভবন।
১২ ফেব্রুয়ারি শ্যামপুর এলাকা থেকে খোলামোড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মিরপুর বড়বাজার এলাকা থেকে শুরু করে আবারো কাটাসুর আমিন মোমিন হাউজিং পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।