গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এই প্রথম এশিয়াটিক কালো ভল্লুক একটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। দেশে এই প্রথম ক্যাপটিবে ভল্লুক শাবকের জন্ম হলো। এ নিয়ে সাফারি পার্কে প্রথমবার ভল্লুক শাবকের জন্মে অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করছে। গত শনিবার ভল্লুক শাবকের জন্ম হলে আজ কর্মকতাদের নজরে পরে ভল্লুক শাবকটি। জন্মের পর থেকেই ভল্লুক বেষ্টনিতে লতাপাতার আড়ালে লুকিয়ে ছিল শাবকসহ মা ভল্লুক। পার্কে প্রথমবারের মতো ভল্লুক পালে বাচ্চা পাওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পাকর্ কতৃপক্ষ জানান, কয়েক দফায় আফ্রিকা থেকে ব্ল্যাক এশিয়াটিক জাতের ভল্লুক আমদানি করে একটি পশু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। পার্কে এখন ১২ টি ভল্লুক রয়েছে। এর মধ্যে স্ত্রী ভল্লুক ৪ টি আর পুরুষ ভল্লুক রয়েছে ৮টি।
ওয়াইল্ড লাইফ স্কাইট মুস্তাফিজুর রহমান বলেন পার্কে ভল্লুক বেষ্টনীতে উন্মুক্ত পরিবেশে ভল্লুক বিচরণ করছে। নিয়ম করে প্রতিদিন সকাল বিকাল বিভিন্ন ফলমুল সবজি খাদ্য হিসাবে দেওয়া হয় ভল্লুক বেষ্টনীতে। বেড়াতে আসা দর্শনাথীরা নিরাপদ গাড়িতে বসে ভল্লুক দেখতে পারবে।
ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান পার্কে থাকা ভল্লুক হচ্ছে এশিয়াটিক ব্ল্যাক বেয়ার। এরা সর্ব ভুিজ প্রাণি। শাক সবজি ফলমুল খেতে পছন্দ করে। ভল্লুক প্রকৃতিতে ২০-২৫ বছর বেঁচে থাকে। ক্যাপটিভে (আবদ্ধ জোন) ৩০-৩৫ বছর বেঁচে থাকে। ভল্লুক সাধারণত এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (এসিএফ) মো.তবিবুর রহমান জানান, গত শনিবার আফ্রিকান সাফারি বেষ্টনীর ভেতরে বাচ্চার মৃদৃ কান্নার শব্দ পাওয়া যায়। পরে এ দুই দিন লতাপাতার আড়ালেই মা ভল্লুক শাবক নিয়ে লুকিয়ে ছিল। খাবারের সময় মা সামনে আসলেও শাবককে দেখা যায়নি।
তিনি জানান এ দেশে ক্যাপটিভে এটাই ভল্লুকের প্রথম বাচ্ছা দেওয়ার ঘটনা। পরে আজ (গতকাল) একটি গর্তের মধ্যে মা ভল্লুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে দেখা মিলে। এখন গর্তের মধ্যেই খাবার দেওয়া হচেছ নিয়ম করে। মা ভল্লুক বাচ্চার প্রতি খুব বেশি সর্তক থাকছে।
এখনো শাবকের লিঙ্গ নির্ণয় করা সম্বব হয়নি। কয়েকদিন গেলেই ভল্লুকের শাবক সামনে আসতে পারে। পরে সুযোগ বুঝেই লিঙ্গ নির্ণয় করা হবে। তিনি আরো বলেন দুই সপ্তাহ আগেই একটি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে।