বাংলাদেশ চা বোর্ডের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে চা শিল্পের উন্নয়ন তথা চায়ের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। চা শিল্পে বাংলাদেশের আছে গৌরবময় ঐতিহ্য। একসময় বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই চা শিল্পে বিনিয়োগ করতেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন উৎপাদিত চা বিপণন আর রপ্তানি নির্ভর নয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা ব্যাপকভাবে গেছে। দেশীয় বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় শামিল আছে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে চায়ের বাজার ধরতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে বড় করপোরেটরা।
উপমহাদেশে চা চাষের শুরু ব্রিটিশদের হাতে। বাজার তৈরিতে তারা প্রথমে বিনা পয়সায় চা তুলে দিয়েছিল মানুষের মুখে। চাষ থেকে শুরু করে বিপণন, রপ্তানি ও বাগানের মালিকানা— সবকিছুতেই ছিল তারা। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আধিপত্যের গল্প এখন নতুন করে লেখা হচ্ছে দেশি শিল্প গ্রুপের হাত ধরে। চা বোর্ড গত দুই দশকে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চা চাষের আওতা বাড়াতে তদারকি বাড়িয়েছে। ক্ষুদ্র চাষি ও নতুন উদ্যোক্তাদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাতে চা উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু সিলেট-চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে চা চাষের বিস্তার ঘটেছে উত্তরাঞ্চল ও পার্বত্য জেলায়। গত এক দশকে চা বিপণন ব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভালো-মন্দ অনেকেই চায়ের বাজারে আধিপত্য ধরে রাখতে চাইছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এইচআরসি গ্রুপের চা বিভাগের প্রধান নির্বাহী মো. ইদ্রিস। একসময় দেশীয় উৎপাদন ও বাগান মালিকদের প্রতিষ্ঠানগুলো চা বিপণনে থাকলেও আমদানি নির্ভরতার সুযোগে বেশকিছু করপোরেট প্রতিষ্ঠানও চা বিপণনে এসেছে। এর ভালো দিক থাকলেও অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই চায়ের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করোনাকালে সবকিছু স্থবির থাকলেও ২০২০ সালে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি দেশের কোনো চা বাগান। ফলে গেল বছরে উৎপাদন হয় ৮৬ হাজার ৩৯০ টনের বেশি চা, যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল পৌনে ৭৫ হাজার টনের। পঞ্চগড়ের চা বোর্ডের আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরবঙ্গের সব চা বাগানের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা বাগান পরিচর্যা ও পাতা তোলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। চা আবাদে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
উৎপাদনের মতোই সাফল্য আসে রপ্তানিতেও। গেল বছর বিদেশে পাঠানো হয় ২ হাজার ১শ টনেরও বেশি চা; যা ২০১৯ সালে ছিলো ৬শ টন। অর্থাৎ বছরভেদে প্রবৃদ্ধি ৩ গুণেরও বেশি। রপ্তানিতে সোনালী দিন ফেরাতে চায়ের গুণগত মানোন্নয়নের দিকে নজর খাত সংশ্লিষ্টদের। ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চা রপ্তানিতে বাংলাদেশের গড় আয় ছিলো ৭৩ কোটি টাকার বেশি। সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৭ কোটি টাকা আসে ২০০৮ সালে। গেল দশকে এই খাতের গড় আয় নেমে আসে ২২ কোটি টাকায়। সর্বোচ্চ ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আসে ২০১৭ সালে।
মহামারী করোনায় চা শিল্পকেও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। উৎপাদন ভালো হলেও চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা খুশি নন। একাধিক চা বাগানের মালিক, ব্যবস্থাপক, চা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনায় চা বাগান চালু রেখে অনেকটা লাভবান হলেও এখন উৎপাদিত চা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। বাগানের উৎপাদিত ২৫ শতাংশ চা অবিক্রীত পড়ে আছে। আবার বেশকিছু বাগানের গেলো বছরেরও অবিক্রিত চা রয়েছে। করোনায় বাজারে চায়ের ক্রেতা কমে যাওয়ায় এসব চা আটকে আছে। চা বিক্রি না হওয়াতে বাগান মালিকপক্ষ কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। উপরন্তু করোনার কারণে অবিক্রিত চা পড়ে থাকায় এর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।
একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম সূচক চায়ের ভোগ্যতা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক ও ঊর্ধ্বমুখী থাকলে চায়ের চাহিদাও বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে চা পানের ব্যবহার বাড়লে খাতটির উৎপাদক ও সংশ্লিষ্টরাও লাভবান হয়। কয়েক বছর ধরে দেশের চা খাতের ঈর্ষণীয় ভোগ বাড়লেও কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে চাহিদায় মন্দা বিরাজ করছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছরের বিভিন্ন সময় দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ও লকডাউন থাকায় চায়ের দোকানগুলো বন্ধ ছিল। বর্তমানে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা সচল হলেও ঘরের বাইরে মানুষের চা পানের প্রবণতা কমেছে। এ কারণে পাড়া মহল্লার চা দোকানের ওপর বিপণন নির্ভরশীল কোম্পানিগুলোর চা বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
চা বোর্ড সূত্রের তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের আন্তর্জাতিক নিলামে গড়ে কেজি প্রতি চা বিক্রি হয়েছিল ১৮৭ টাকায়। ২০১৬-২০১৭ তে কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৯১ টাকা। ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে ২১৪ টাকা এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৬২ টাকায় উন্নীত হয়। তবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রেকর্ড উৎপাদন হওয়ায় চায়ের মূল্য হঠাৎ কমে বিক্রি হয় ১৭৬ টাকায়। ২০২০-২০২১ মৌসুমে নিলামে চায়ের কাটতি কমতে থাকায় গড় মূল্য আরো কমে গেছে। ২০২০ সালের জুনে চায়ের চায়ের গড় মূল্য প্রতি কেজিতে ছিল ১৭০ টাকার নিচে। চলতি অর্থবছরে আগের তুলনায় চায়ের গড় মূল্য আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বাগান মালিকদের দাবি, সরকারের নানা সহযোগিতায় চা বাগানগুলো দেশীয় চাহিদার প্রায় শতভাগ উৎপাদন করছে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে উৎপাদন অব্যাহত থাকলেও বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ অর্থবছরের নিলাম আয়োজন শুরু করতে বিলম্ব হয়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এরই মধ্যে দেশের চায়ের নিলাম সংখ্যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বাড়িয়েছে চা বোর্ড। করোনা পরিস্থিতিতে নিলামে চা বিক্রি না হওয়াতে বাগানের অর্ধেক চা আটকে আছে। চলতি মৌসুমে দেশে চায়ের বিপণন কমে যাওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রেখে রপ্তানি বাড়ানো গেলে চা উৎপাদনে ক্ষতি ও রপ্তানির মাধ্যমে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন চা সংশ্লিষ্টরা। তবে বর্তমানে হাট-বাজার খুলে যাওয়াতে এখন একটু একটু করে চা বিক্রি হচ্ছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চা বিপণনে এখন নতুন অনেক ব্র্যান্ডের আধিপত্য। একসময় দেশের চা বিপণনের দুই-তৃতীয়াংশই করত ইস্পাহানি গ্রুপ। তবে এ খাতে নতুন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উঠে আসায় বাজারে গ্রুপটির হিস্যা কমেছে। ইস্পাহানির পাশাপাশি বহুজাতিক ইউনিভারের লিপটন তাজা, শ’ওয়ালেস ও ডানকান ব্রাদার্সও একসময় দেশে চা বিপণনে নেতৃস্থানে ছিল। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে চা বিপণনে নতুন নতুন ব্র্যান্ডের আবির্ভাবে আধিপত্য হারাচ্ছে এসব ব্র্যান্ডও।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের চা বিপণনের প্রবৃদ্ধি ৪-৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রতিযোগিতামূলক এ বাজারে বিপণন পদ্ধতির কৌশল একসময়কার শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এর বিপরীতে বাড়ছে আবুল খায়ের, মেঘনা ও পারটেক্স গ্রুপের বাজার হিস্যা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা বিপণন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে চা নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি ব্রোকার্স। প্রতিষ্ঠানটির গত চার বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইস্পাহানি নিলাম থেকে চা কিনেছিল ২৮ দশমিক ছয় শতাংশ। এরপর থেকে প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠানটির বাজার দখল কমেছে। চা ক্রয় ও বিক্রয়ের পরিমাণ কমলেও এখনো শীর্ষে রয়েছে গ্রুপটি।
তবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ২০০০ সালের পর চা বিপণনে আসা আবুল খায়ের গ্রুপ। বিপণন কৌশল ছাড়াও চায়ের আনুষঙ্গিক একাধিক পণ্য উৎপাদনের কারণে আবুল খায়ের গ্রুপের সিলন ব্র্যান্ডের এ প্রবৃদ্ধি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্বিতীয় সারির প্রতিষ্ঠানগুলোর চা কেনার পরিমাণও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এর মধ্যে মেঘনা গ্রুপের নাম করতে হয়। চা ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চায়ের অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ মৌসুমে পারটেক্স গ্রুপ (ড্যানিশ ও সিমলা চা) নিলামে বিক্রি হওয়া চায়ের ২ দশমিক ৯ শতাংশ কিনেছিল। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে সর্বশেষ অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটির চা কেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশ। অর্থাৎ শীর্ষ চা বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পারটেক্স গ্রুপ। চা ক্রয় ও বিপণনকারীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এইচআরসি ষষ্ঠ, এসিআই গ্রুপের টেটলি চা সপ্তম, ওরিয়ন অষ্টম, কনসোল নবম ও এম আহমেদ দশম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েক বছরে নতুন উঠে আসা চা বিপণনকারীদের মধ্যে আছে কনসোল গ্রুপ, শবনম ইন্ডাস্ট্রিজ, মারিয়া টি কোম্পানি, মিন্টু টি কোম্পানি, আসিফ ব্রাদার্স, কামনা টি কোম্পানি, বনানী টি কোম্পানি ও কাজী টি।
বাংলাদেশের চা উৎপাদনের সাফল্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কয়েক বছরের অনুমানও ভেঙে দিয়েছে। সংস্থার একটি কমিটির আভাস ছিল, ২০২৭ সালে বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন দাঁড়াবে ৯ কোটি ৬৮ লাখ কেজিতে। ২০১৯ সালের চায়ের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজিতে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব মূলত দেশীয় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর। চা বাগান না থাকলেও লাইসেন্স নিয়ে চা বিপণনে যুক্ত হয়েছে আবুল খায়ের, মেঘনা, পারটেক্স স্টার ও এসিআই গ্রুপ।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সূত্র মতে, অনলাইনে চা নিলাম, চায়ের বিপণন কার্যক্রমকে অধিক গতিশীল করবে। এতে কোভিড পরিস্থিতিতে চা বিপণনে ও ব্যবসায় নতুন গতির সঞ্চার হবে। অনলাইনে চা নিলামের পরীক্ষামূলক যাত্রা দেশের চা শিল্পের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রথমবারের মতন অনলাইনে প্রায় ১২ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে চা বিক্রির ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের পাশাপাশি চা বিপণনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও দৃঢ় হবে। এছাড়া কোভিডসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে চা বিপণন স্বাভাবিক থাকবে।
লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি’ প্রকাশিত ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চা উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নবম। তাদের হিসেবে, বিশ্বের মোট চায়ের ২ শতাংশই উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা বছরে ৯ কোটি কেজি। করোনাকালীন দেশের চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনার দাবি করেছেন চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এই শিল্পের উন্নয়নে করোনাকালে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। চা শ্রমিকদের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা ছিল। চলতি বছর চায়ের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ কেজি। ৪ জুন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস উদ্যাপনে স্লোগান ছিল ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’। গুণে ও মানে বাংলাদেশের চা সেরা হিসেবে বিবেচিত। দেশের চা বাগানগুলির সংস্কার, আধুনিকায়ন, টেকসই ব্যবস্থাপনা, শ্রমিকদের দক্ষতা ও জীবনমান উন্নত করা গেলে চা শিল্প অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
লেখক : শাহীন চৌধুরী ডলি
মুক্তগদ্য লেখক
shaheen.babu1971@gmail.com