দেশেই তৈরি হবে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার

ছবি : সংরক্ষিত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আজ ওজোপাডিকোর সঙ্গে চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির চুক্তি সই

দেশেই তৈরি হবে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর, ২০১৮

এখন থেকে দেশেই তৈরি করা হবে বিদ্যুৎ বিতরণের প্রিপেইড মিটার। আগামী জানুয়ারি থেকেই রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি যৌথভাবে মিটার তৈরির কাজ শুরু করবে। এ লক্ষ্যে আজ রোববার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের চুক্তি সই হবে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, দেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের জন্য খুলনার সাচিবুনিয়ায় ভাড়া করা ফ্যাক্টরিতেই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগকে আরো সম্প্রসারিত করে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে মিটার তৈরির কারখানা করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জানুয়ারি থেকেই মিটার উৎপাদন শুরু করতে চাই। এর আগে সব মিটারই আমদানি করা হতো। এখন থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় অর্থের সাশ্রয় হবে।’ এই উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ভাড়া করা জমিতে কাজ করছি। ভবিষ্যতে নিজেদের জমিতে ফ্যাক্টরি করব এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’ এখন প্রতি বছর তাদের কারখানাতে ৫ লাখ মিটার তৈরি হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, এখন দেশে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে মাত্র ১৫ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায়। সরকার বিতরণ কোম্পানিকে যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৭৫ লাখ গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। অর্থাৎ সরকারের পরিকল্পনা সফল করতে হলে ২ বছরে ৫৯ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। কিন্তু এত অল্প সময়ে এত বেশি মানুষের ঘরে প্রিপেইড মিটার বসানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়। ওয়েস্ট জোন ও হেক্সিং যৌথভাবে যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে দেখা যায়, প্রতিটি মিটার আমদানি করতে এখন ব্যয় হচ্ছে সাড়ে চার হাজার টাকা। কিন্তু দেশে তৈরি করা হলে প্রতি মিটারের দাম পড়বে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মিটারে সাশ্রয় হবে ৫০০ টাকা। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে আরো কম খরচে মিটার উৎপাদন সম্ভব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে নতুন হওয়ায় বাংলাদেশে প্রিপেইড মিটারের বড় বাজার রয়েছে। তিন কোটি গ্রাহক আর চার হাজার টাকা ধরে হিসাব করলেও দেশে প্রিপেইড মিটারের ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। বিপুল সম্ভাবনাময় এই খাতে মিটারের সব জোগানই এতদিন বাইরে থেকে আসত। এখন এর আংশিক দেশেই উৎপাদিত হবে। অন্য বিতরণ কোম্পানি মিটার উৎপাদনে এগিয়ে এলে দেশেই সব মিটার উৎপাদন সম্ভব। একটি বা দুটি কারখানা করেই দেশে প্রতি বছরের মিটারের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, ধীরে ধীরে সব গ্রাহকের আঙিনায় প্রিপেইড মিটার বসানো হবে। এতে ব্যবহারের আগেই গ্রাহককে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে। ফলে বিদ্যুৎ বিল শতভাগ আদায়ের পাশাপাশি বিল তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় কমে যাবে। ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলো দু’দিক থেকে লাভবান হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads