রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

দুর্গাপূজায় পটকা, আতশবাজি ও মাদক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: ডিএমপি কমিশনার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোনো ধরণের নিরাপত্তার হুমকি নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে দুর্গাপূজায় পটকা, আতশবাজি ও মাদকের  ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আযান ও নামাজের সময় সব ধরণের বাদ্য বাজনা বন্ধ থাকবে। এবার দুর্গাপূজার বিসর্জনের দিন শুক্রবার হওয়ায় ঐ দিন দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সকল ধরণের বাদ্য বাজনা স্থগিত থাকবে।

আজ রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজা ধর্মীয় বড় উৎসবের মধ্যে অন্যতম। এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৪টি সার্বজনীন দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ৯টি সবচেয়ে বড় মন্দির। এগুলো হচ্ছে- ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃঞ্চ মন্দির, কলাবাগন মন্দির, বনানী মন্দির। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির, রমনা কালি মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পুজা মণ্ডপ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ। এর বাইরের সব মন্দিরেই কয়েকস্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটর করা হবে, প্রবেশকালে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ভক্তকূল ও দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে। পোশাক পুলিশ, নারী পুলিশ ও সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। স্বেচ্ছাসেবকরা আলাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থী ও ভক্তকে নিরাপত্তা বলয়, তল্লাশী ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করার পর প্রবেশ করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার প্রত্যেকটি বড় বড় মন্দির স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডিএমপি’র ও র্যা বের ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় র্যা ব সদস্যরাও কাজ করবে। কোনো ধরণের ছিনতাই ও ইভটিজিং এর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। পূজামণ্ডপ এলাকায় হকার বসতে ও ঢুকতে দেয়া হবে না।

দশমীর দিনে শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রার রুট হবে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশীর মোড়, জঘন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জঘন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটলি হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ও মাঝে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক করেছি। নিরাপত্তা সুবিধায় বিজয় শোভাযাত্রায় উচ্চস্বরে পিএ সেট বাজনা বন্ধ থাকবে। বিসর্জনের সময় নদীতে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা মোতায়েন থাকবে। ফায়ার সার্ভিসের সার্চলাইটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো ঢাকা শহরে নিরাপত্তা চেকপোস্ট থাকবে। সম্মানিত ভক্তকুল ও দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছি, পূজা মণ্ডপে ছুরি, কাচি, পোটলা, ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক নিয়ে আসবেন না। কারণ কাউকে এসব নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শোভা যাত্রার সময় শোভাযাত্রার রুটে অবাঞ্চিত লোক, হকারদের বসতে দেয়া হবে না। চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কে ডাইভারশন দেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads