গত দুইদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলসহ তিস্তা তীরবর্তী ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বড় বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষদের।
সোমবার সকাল থেকে পানি বাড়তে থাকে তিস্তায়। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সে. মি. এবং সন্ধ্যায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে পানি কমে বিপদসীমার ১৫ সে.মি ওপরে এবং সকালে বেড়ে ১৭ সে.মি. ওপরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে হ্রাস বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদরের ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবসহ নানা সমস্যা। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চরবাসি। আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে।
তিস্তা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, গত ৪৮ ঘন্টা তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম এবং উঠা নামা করায় লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।