বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ) অংশ ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদে দক্ষিণাঞ্চলের ঈদের সর্ববৃহৎ ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ছয়শ বছরের পুরানো এই মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম, সোয়া আটটায় দ্বিতীয় ও ৯টায় তৃতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজকে ঘিরে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ষাটগম্বুজ মসজিদে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে স্থানীয় মুসল্লি ছাড়াও দেশী বিদেশী পর্যটকরা নামাজ আদায় করে আসছেন।
এছাড়া বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহে সকাল পৌনে ৮টায়, হযরত খানজাহান (রহ:) মাজার জামে মসজিদ, পুরাতন কোর্ট মসজিদ, মিঠা পুকুরপাড় জামে মসজিদ, ফলপট্টি জামে মসজিদ, খানজাহানিয়া বায়তুল ফালাহ মসজিদ, নতুন কোর্ট জামে মসজিদ, সরুই হাজী আরিফ জামে মসজিদ, সকাল ৮টায়, সোনাতলা আউলিয়াবাদ জামে মসজিদ, খারদ্বার জামে মসজিদ ও রেলওয়ে জামে মসজিদ সকাল সোয়া ৮ টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বাগেরহাটের ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন জামে মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
ষাটগুম্বুজ মসজিদের ঈমাম ও খতিব মোহম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ষাটগু¤ু^জ মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান ও সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এখানে আরও দুটি জামাত হবে। এখানে জেলার বাইরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
ষাটগুম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, হজরত খানজাহানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদ শুধু বাগেরহাট নয় গোটা বিশে^ তার আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদের নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা আগমন করে। অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এখানে দীর্ঘদিন থেকে ঈদের জামাত হয়ে আসছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত শান্তিপূর্ণভাবে করতে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেও প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যটন স্পট হিসেবেও ষাটগুম্বুজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাগেরহাটে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের জামাত ও আনন্দ উপভোগের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহনসহ পটকা, আতসবাজি ফুটানো বন্দ, রেকর্ডার ও মাইকের মাধ্যমে গান না বাজানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোমল পানীয় বিক্রির নামে রাস্তার পার্শে ও মোড়ে অস্থায়ী ষ্টল তৈরী থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





