দক্ষতায় এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংক

লোগো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম)

ব্যাংক

সপ্তম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ

দক্ষতায় এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ নভেম্বর, ২০১৮

দক্ষতার মানদণ্ডে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো এগিয়ে রয়েছে। পিছিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত (সরকারি) ব্যাংকগুলো। দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো দক্ষতায় সবচেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) গতকাল বুধবার শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী সপ্তম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ব্যাংকগুলোর ঋণ, আমানত, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও মানবসম্পদ পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছে বিআইবিএম। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক তুলনামূলকভাবে অন্য তিন ব্যাংকের থেকে এগিয়ে রয়েছে দক্ষতায়। বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এবারের বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে চারটি প্ল্যানারি সেশনে ২২টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এসব সেশনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন। দুই দিনের সম্মেলনে দেশি- বিদেশি অংশগ্রহণকারী থাকছেন। ব্যাংকিং সম্মেলনে জার্নাল এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে যুক্তরাজ্যের সাইন প্রেস লিমিটেড, যমুনা টেলিভিশন, দৈনিক বণিক বার্তা, দ্য এশিয়ান এজ এবং নিউজ পোর্টাল অর্থখবর। অনলাইন পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে বিআইবিএম। এবার সপ্তম ব্যাংকিং সম্মেলন। প্রথম দিনের একটি সেশনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সেখানে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকের দক্ষতা নিয়ে বলা হয়, কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক শতভাগ স্কোর অর্জন করতে পারেনি। জনতা ব্যাংকের পরে দক্ষতায় ভালো অবস্থানে রূপালী ব্যাংক। আর সবচেয়ে পিছিয়ে সোনালী ব্যাংক। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।

দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো দক্ষতায় সবচেয়ে এগিয়ে। উল্লিখিত সময়ে দেখা যায়, সাউথইস্ট ব্যাংক সবচেয়ে বেশি দক্ষ। এরপর রয়েছে এবি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। আর ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলো যত ভালো করুক, নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসুক কিন্তু সুশাসন না থাকলে টিকে থাকতে পারবে না। সুশাসনকে আগামী দিনগুলোতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়। অর্থনীতিতেও পরিবর্তন এসেছে। তাই আমাদের সামনে তাকাতে হবে। পেছনের আর্থিক সমস্যাগুলোর দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। 

এ সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমাদের ব্যাংক খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নানা নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে আমাদের সম্ভাবনা ও ঝুঁকির দিকগুলোয় অগ্রাধিকার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে ব্যাংক খাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি খেলাপি ঋণ, একক গ্রাহককে বড় আকারের ঋণ ২০১৭ সালে ব্যাংক খাতের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক ছিল বলে জানান।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads