লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
উজানের অব্যহত ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি আজ শনিবারেও বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কিছুটা কমে সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম বলেন, পানি ব্যারাজ পয়েন্টে শনিবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কিছুটা কমে সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। নদী পারের মানুষ আবারও তৃতীয় দফায় বন্যার পড়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর,খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, তিস্তায় পানি বাড়ায় কিছু নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে পানি কমে যাচ্ছে। নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।