তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২২টি খাতে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে তিতাসের স্বচ্ছতা, দুর্নীতি বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অবৈধ সংযোগ, মিটার টেম্পারিংসহ এসব খাতের অভিযোগগুলো মন্ত্রণালয় তদন্ত করবে বলে জানানো হয়। প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, অভিযোগগুলো আরো তদন্ত করবে মন্ত্রণালয়। জড়িতদের ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিতাসের বিভিন্ন কাজে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আর সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিলো দুদকের একটি তদন্ত টিম। এরইমধ্যে দশটি মন্ত্রণালয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে দুদক।
এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের প্রতিবেদনে ১২ দফা সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক বলেন, কমিশনের এই প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সহজ হবে। এভাবে দুর্নীতি সংঘটনের আগেই তা প্রতিরোধ করা গেলে, মামলা-মোকদ্দমার করার প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুন্য সহিষ্ণুতার যে ঘোষণা দিয়েছে। কমিশন সে ঘোষণা বাস্তবায়নে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এসকল প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।