করোনাভাইরাস রোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন পৌর শহরসহ হাটবাজার এখন জনশূণ্য। এমনকি রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় সচেতন নাগরিকরা অনেকটা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
এদিকে সরকারের নির্দেশে তাড়াশ উপজেলা প্রসাশনের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় এলাকাবাসী নিজেরাই অনেকটা সচেতন হয়েছেন। তাড়াশ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ১৭ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রয়েছেন চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
আজ শনিবার বিকালে উপজেলার পৌর শহর ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানুষজন নেই। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাঁচাবাজার খোলা রয়েছে। এছাড়া হোটেল, অফিস ও অনান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, উপজেলা প্রসাশনের বিভিন্ন পদক্ষেপে ফাঁকা হয়ে গেছে উপজেলার হাটবাজারসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রশাসনের।
তিনি আরো বলেন, যদি নিজেদের জীবন বাজি রেখে ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা প্রসাশন, পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আমাদের নিরাপত্তা দেয়া ও সুস্থ রাখতে রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আমাদেরও সচেতন হতে হবে ও আইন মানতে হবে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জামাল মিয়া বলেন, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ১৭জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া আট ইউনিয়নে আমাদের চার সদস্য বিশিষ্ট আটটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের মধ্যে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ও চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য।