বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ৭৪৯টি দুস্থ অসহায় পরিবার যাদের জমি আছে ঘর নাই তারাই পেল মাথা গোঁজার ঠাঁই স্বপ্নের বসত ঘর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে প্রতিটি পরিবার পেয়েছে টয়লেটসহ পাকা পিলার ও চর্তুদিকে ইটের দেওয়াল দিয়ে তৈরী করা ১৬/ সাড়ে ১৫ ফুটের বসতঘর। প্রথমে চারপাশে টিনের বেড়া বরাদ্ধ থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত চারপাশে ইটের গাথুনি হলো। ঘরপ্রাপ্ত ইউনিয়ন, তালা সদর ২৫৮টি, সরুলিয়া ২৪৫টি খলিশখালী ১৩৩টি এবং জালালপুর ইউনিয়ন ১১৩টি আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর বসতঘর পেয়েছে যার কাজ ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও উদ্বোধন করা হয়নি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল-মে মাসের শেষ দিকে ঘর গুলো নির্মান বরাদ্ধ হলেও জুন-জুলাইতে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহবায়ক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তালা উপজেলাতে যাদের জমি আছে ঘর নাই এমন দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঘর দিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হলো তালা উপজেলাতে আশ্রায় প্রকল্প-২ এর আওতায় ৭৪৯টি স্বপ্নের বসত ঘর।
সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, ঘর পেয়ে দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলো আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। এসময় কথা হয় তালা সদর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের মাজেদা বেগম এর সাথে। তিনি বলেন, তার ভিটামাটি ছাড়া আর কোন সহায় সম্বল নাই। তিনি দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে অন্যের বাড়ীতে কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। কিন্তু রাতে মাথা গোজার তেমন ঠাই ছিলেনা। শীতের রাতে ঠাণ্ডায় শিউরে উঠতো ছোট ছোট ব্চাাদের শরীর। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছে। এসময় চোখের পানি ফেলে বলেন, সরকার ঘর না দিলে জীবদশায় হয়তো বা কোন দিন ইটের গাথুনির পাঁকা ঘরে বসত করতে পারতেন না। তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রীসহ কর্তৃপক্ষের জন্য কান্নাজড়িত কন্ঠে দোয়া করেন। এছাড়া ঘর পেয়ে জুসখোলা গ্রামের আঃ সাত্তার শেখ, শহিদুল ইসলাম, কানাইদিয়া গ্রামের মিজানুর বিশ্বাস, জালালপুর গ্রামের মাছুমা বেগম(ময়না), জিয়ালা নলতার সুভাষ রায় স্বপ্নের বসতঘর পেয়ে রিতিমত খুশি। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন বলেন, উপজেলায় ৭৪৯টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। কোন কিছুর কমতি নেই, সুষ্ঠ্যভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় উপকারভোগিরা ইতোপূর্বে বসবাস করছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে দুস্থ ও অসহায় পরিবার ঘর পেয়েছে তারা এখন খুশি। তবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের এই উদ্যোগ অব্যহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।