তারেক রহমানের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

তারেক রহমানের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর, ২০১৮

‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উচিত দলীয় পদ থেকে সরে যাওয়া’— সুশীল সমাজের এমন পরামর্শ প্রত্যাখান করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারেক রহমানের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালতের বক্তব্যের সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মিল রয়েছে, যা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তাই এ নিয়ে তারেক রহমানের পদত্যাগেরও কারণ নেই।’

ফখরুল আরো বলেন, ‘গ্রেনেড হামলায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের আমলে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, হলি আর্টিজান এবং জঙ্গি হামলায় নিহত বিদেশি কূটনৈতিক ব্যবসায়ী, এনজিও কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, যাজক, পুরোহিত, ব্লগার হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের দায় ক্ষমতাসীনদের ওপরই বর্তায়। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।’

এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘এ রায় গ্রহণযোগ্য নয়’—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্যে হামলা হয়েছে বলে আদালতের যে পর্যবেক্ষণ তা যুক্তিগ্রাহ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়। মুফতি হান্নানের বেআইনি দ্বিতীয় জবানবন্দি বাদ দিলে তারেক রহমান বা অন্য অনেক ব্যক্তিকেই এই মামলায় অভিযুক্ত করা যেত না। যৌক্তিক কারণেই বলা যায়, প্রকাশ্য আদালতে মুফতি হান্নান যাতে বলতে না পারেন যে, তাঁকে দিয়ে জোর করে জবানবন্দিতে সক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, সে জন্যই একটি মামলায় দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ।

গত ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads