আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন বক্তা থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। এসময় তিনি এই সমাবর্তন সফল করতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, এবার সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ২১ হাজার ১১১জন গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এই সংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের ইতিহাসে সর্বাধিক।
এই অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১জনকে পিএইচ ডি এবং ২৭জনকে এম ফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
উপাচার্য সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, সমাবর্তন দিবস শিক্ষার্থীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিবসটির জন্য শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা একাডেমিক সার্টিফিকেট ও পদক গ্রহণ করে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এই সংস্কৃতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতি বছর নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল শিগগিরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।
উপাচার্য বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্র্যাজুয়েটদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য তিনি সর্বসাধারণ এবং স্বাভাবিক চলাচলকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
