হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে পুলিশ ওই তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. রেজা কিবরিয়ার। এ সময় তার বাড়ির আসবাপত্রও ভাংচুর করে পুলিশ। তবে পুলিশ জানায় এজাহারভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে গ্রামবাসী পুলিশকে ধাওয়া করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বুধবার বিকালে গোপলাবাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে তল্লাশী শুরু করে। এ সময় এলাকার লোকজন গ্রামের জামে-মসজিদে মাইকিং করে রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশের তল্লাশীর খবর জানালে গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। গ্রামবাসী অবস্থান দেখে পুলিশের টহল টিম বাড়ি থেকে দ্রুতস্থান ত্যাগ করে পাশ্ববর্তী গোপলাবাজার তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের উপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে । এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ২ তলা বিশিষ্ট বাসার কক্ষে তল্লাশীর সময় কে বা কাহারা মসজিদের মাইকে মাইকিং করে রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশ ও অজানা মানুষের আগমনের খবর জানিয়ে গ্রামবাসীকে লাঠিসোটা নিয়ে আসার জন্য মাইকিং করে। মাইকিং শুনে এ সময় শত-শত গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে আসলে পুলিশ স্থানীয় পুলিশ ফাড়িঁতে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন শুভ জানান, ‘তারা বাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাসায় তল্লাশী চালায়। এ সময় পুলিশ আসামী ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আমাদের মালামাল তছনছ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে পুলিশ চলে যায়‘।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পুলিশ অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। এ সময় আসামী না পেয়ে আমরা চলে আসি’।
ড. রেজা কিবরিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ‘আমাকে হয়রানী করার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে পুলিশ’।