ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কের প্রস্তাবিত ছবি

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কে বদলে যাবে নগরী

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

চট্টগ্রামে ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকার ভেতর নির্মাণাধীন সড়কটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ এলাকার প্রায় ৪০০ ফুট উঁচু পাহাড়গুলো কেটে বাস্তবায়ন করা ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কে বদলে যাবে নগরীর যাতায়াত ব্যবস্থা। বাইপাস হিসেবে কাজ করা পাহাড়ি এলাকার এ রোড দিয়ে ডিটি রোড থেকে বায়েজিদ, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি কিংবা কক্সবাজারমুখী গাড়িগুলো চলাচল করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

২১ বছর আগে (১৯৯৭ সাল) পাহাড় কেটে দুই লেনের এ সড়কটি ৪০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল ১৯৯৯ সালে। পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে যাওয়া প্রকল্পটি অর্ধসমাপ্ত রেখেই শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন করে প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ২৭০ কোটি টাকায় দুই লেনের সড়কটি নির্মাণে কাজ শুরু হয়। সেই প্রকল্প ১৭২ কোটি টাকায় একনেক অনুমোদনের পর আবারো সংশোধিত আকারে ৩২০ কোটিতে চার লেন হিসেবে একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৬ সালে। এক সময়ের ৪০ কোটি ও বর্তমানে ৩২০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন হতে থাকা প্রকল্পের অগ্রগতি দেখা গেছে।

জানা গেছে, প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের কারণে আল হেরা মসজিদের পয়েন্ট থেকে উত্তর দিকে বাঁক নিয়েছে। বায়েজিদ ছিন্নমূল এলাকার ভেতর দিয়ে ধনুকের মতো বেঁকে আরেফিন নগরের পাশে গিয়ে পূর্বে নির্মিত সড়কের সাথে যুক্ত হচ্ছে সড়কটি। ১৯৯৭ সালের প্রকল্পের অধীনে এ সড়ক নির্মাণ হয়েছিল। কিন্তু এটার প্রায় এক কিলোমিটার অংশজুড়ে নিজেদের ক্যাম্পাস তৈরি করে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন।

প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন, বায়েজিদ আরেফিন নগরে রোডের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আর অল্প দূরত্ব বাকি রয়েছে। শিগগিরই তা শেষ করে মে মাসের মধ্যে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হবে। তিনি বলেন, এখনো অনেক ব্রিজ নির্মাণ হয়নি, কাঁচা রোড দিয়ে অবশ্য গাড়ি যাতায়াত করার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। সাধারণের চলাচলের জন্য কবে নাগাদ ব্যবহার করা যাবে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, যেহেতু প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। তাই এ সময়ের মধ্যে আমরা তা চালু করতে চাই। মে মাসের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। তাই বর্ষার আগে রোডটি তৈরির কাজ শেষ করতে চাই। এখন পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads