ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার রাবি সাংবাদিক বাপ্পীর মুক্তি দাবি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

ক্যাম্পাস

ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার রাবি সাংবাদিক বাপ্পীর মুক্তি দাবি

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর, ২০২০

তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মানিক রাইহান বাপ্পীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকসহ দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা।

রোববার দুপুরে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকেরা।

রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন বিপ্লবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা সাংবাদিকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্ত বাক স্বাধীনতার প্রতি নগ্ন আঘাত। মূলত অভিযুক্ত ব্যক্তির কর্মকাণ্ড আড়াল করার জন্য ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানি করা এ মামলার উদ্দেশ্য। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হয়রানির শিকার হন তাহলে ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতার পথ আরো সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি একই সাথে গ্রেপ্তার মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবসময়ই সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কোনো সাংবাদিক শিক্ষকদের স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিলেই তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে উনারা উঠে পড়েন।

মানববন্ধনে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, রাজশাহীর স্থানীয় সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ ৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন রাবি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকরাম হোসাইন, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রহমান, সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদ, রাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম, সাবেক সভাপতি সুজন আলী প্রমুখ।

এর আগে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন আবাসিক শিক্ষক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদের বিরুদ্ধে সিট বরাদ্দ দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২৪ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ক্ষুব্ধ ওই শিক্ষক যুগান্তরসহ ১৬টি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন। সে সময়ে বাপ্পী ২৪বিডিটাইম ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। যুগান্তরের তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসান আদিব, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম ও রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ ৮ সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। এ মামলার প্রেক্ষিতেই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হন সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পী। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ সাংবাদিক নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জাবি প্রেসক্লাব, ডুয়েট সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতিসহ দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads