মহানগর

ডিএনসিসির নির্বাচন স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮

তিন মাসের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদের ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নেয়ার পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে ঢাকা উত্তরের শূন্য মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেওয়া হয়।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

তাদের মধ্যে আতাউর ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আর জাহাঙ্গীর বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাদের দুই ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারণে ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত করে নেওয়া হয়েছে।

আতাউর রমানের পক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আহসান হাবিব ভূঁইয়া। আর জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।

রিটকারী পক্ষ শুনানিতে বলে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি।

আহসান হাবিব ভূঁইয়া যুক্তি দেন, “এখন যিনি প্রার্থী হবেন, তিনি কিন্তু জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে সেটা কীভাবে সম্ভব?”

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, “মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।”

আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, “উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টির ওয়ার্ড ধরলে কাউন্সিলরের সংখ্যা পঁচাত্তর শতাংশ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।”

তাছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন, তারা পুরো পাঁচ বছর পাবেন না- কেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ঐ রিট আবেদনে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads