শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
ডামুড্যা ও নড়িয়ায় পানিতে ডুবে দু পরিবারের চার জনেরমৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ডামুড্যায় পুকুরপাড়ে সহপাঠীদের সঙ্গে মুরসালিন (৭) ও মুমিন (৫) নামের দু’সহোদর খেলছিল । একপর্যায়ে মুমিন পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে বড় ভাই মুরসালিনও পুকুরে ঝাঁপ দেয়। দুই জনই পানিতে ডুবে যায়।
স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে। সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের ডগারপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুরসালিন ও মুমিন ঐ এলাকার আরিফ খাঁনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের আরিফ খাঁনের ছেলে মুরসালিন ও মুমিনসহ ডগারপাড় এলাকায় দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে খেলছিল বেশ কয়েকজন শিশু। হঠাৎ মুমিন পা পিছলে পানিতে পড়ে গেলে বড় ভাই মুরসালিন তাকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেয়। দীর্ঘসময় হয়ে গেলেও মুরসালিন বা মুমিন কেউ পানি থেকে না ওঠায় বায়েজিদ নামের আরেক শিশু বিষয়টি গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। স্বজনরা পুকুরে নেমে দুই ভাইকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ হোসেন নামে বলেন, বৃষ্টির কারণে পুকুর পাড় খুবই পিচ্ছিল ছিল। খেলার সময় মুমিন পা পিছলে পানিতে পড়ে গেলে মুরসালিন তার ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে দুজনই ডুবে মারাযায় । তাদের হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।
ডামুড্যা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, পুকুর পাড়ে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
শরীয়তপুরের নড়িয়াতে নদীতে ডুবে আরিফ (৮) ও স্নেহা (৬) নামের দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের চরমোহন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আরিফ ও স্নেহা ওই এলাকার বাচ্চু খানের সন্তান ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শিশু দুটি মাদরাসা থেকে ফিরে বাড়ির পাশে ছোট নদীতে গোসল করতে যায়। হঠাৎ স্নেহা নদীর পানিতে ডুবে গেলে আরিফ তাকে উঠাতে যায়। পরে দুজনই পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় আশেপাশে থাকা অন্যরা দেখতে পেয়ে নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে দুজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।